• সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ মোদি সরকার
    আজকাল | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য, দিল্লি: পরিকাঠামো উন্নয়নে মোদি সরকার জোর দিলেও, তা বাস্তবায়নের গতি অত্যন্ত ধীর। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪৫ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে মোদি সরকার। ২০২৪ সালে পরিকাঠামো খাতে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করলেও, নতুন সড়ক নির্মাণ বা রাস্তার সম্প্রসারণের কাজের অত্যন্ত ধীর গতি বলে উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের পরিসংখ্যানে।সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৬,২১৬ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও এই সময়ে সরকারের স্থির করা লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩,৮০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও পূরণ করতে পারেনি কেন্দ্র। পরিকাঠামোখাতে ২০২৪ সালে ২,৫৮,৬০৬ কোটি টাকা খরচ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মোদি সরকার। মোট বরাদ্দের বেশিরভাগ অর্থই ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার খাতে বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের বক্তব্য, চলতি বছরে জাতীয় সড়ক নির্মাণের গতি এর থেকে আর বেশি হবে না। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত মোট জাতীয় সড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল ৫,৭৪৪ কিলোমিটার। সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের আধিকারিকদের বক্তব্য, গত বছর ১০,০০০ কিলোমিটারের বেশি সড়ক নির্মাণ হয়েছিল। তবে চলতি বছরে তার থেকে বেশি পরিমাণ সড়ক নির্মাণ করা হলেও, লক্ষ্যমাত্রা অর্থাৎ ১৩,৮০০ কিলোমিটারের সড়ক নির্মাণ করা কঠিন। ২০২২ সালে মোট ১২,৫০০ কিলোমিটার লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে সড়ক নির্মাণ হয়েছিল ১০,৪৫৭ কিলোমিটার এবং ২০২৩ সালে ১০,৩৩১ কিলোমিটার সড়ক নির্মিত হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের তরফে ধীর গতির সড়ক নির্মাণের জন্য দায়ী করা হয়েছে বরাত দেওয়ার প্রক্রিয়া দেরি হওয়াকে। ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক ৩,১১১ কিলোমিটারের বরাত দিয়েছে। যদিও ২০২৩ সালে বরাত দেওয়া হয়েছিল ৭,১২৩ কিলোমিটার। কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে, চলতি বছরে ১০,০০০ কিলোমিটার স়ড়কের বরাত দেওয়া সম্ভব হবে। চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রকে। কারণ, ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির পুরো অর্থেরই জোগান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাজেটের অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে টাকা জোগানো হচ্ছে জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থাকে। যাতে বিপুল পরিমাণ ঋণ কাজের ক্ষতি না করে। তবে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কাজের বাস্তবায়নের গতি অত্যন্ত ধীর।
  • Link to this news (আজকাল)