• আদালতের নির্দেশের পর পাল্টা কৌশল; সন্দেশখালির ১৯ জায়গায় জারি ১৪৪ ধারা
    ২৪ ঘন্টা | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • বিক্রম দাস: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর এবার পাল্টা কৌশল করল পুলিস। সন্দেশখালির ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে মোট ১৯টি এলাকায় জারি করা হলে ১৪৪ ধারা। ওই ধারা জারি থাকেবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পুলিস সূত্রে খবর, সন্দেশখালি পঞ্চায়েতের ৫টি, জেলিয়াখালি, খুলনা ও বেড়মজুর পঞ্চায়েতের ৩টি করে এলাকা এবং কোরাকিট ও মণিপুর পঞ্চায়তের একটি করে এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। ফলে যাতায়াতে বিধিনিষেধ আরোপ হবে।

    গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় সন্দেশখালির সব জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা যাবে না। যেখানে উত্তেজনা রয়েছে সেখানেই একমাত্র ১৪৪ ধারা জারি করা যাবে। এরপরই পাল্টা কৌশল হিসেবে সন্দেশখালির ১৯টি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে প্রশাসন। এই একশো চুয়াল্লিশ ধারার দোহাই দিয়েই কলকাতায় আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। এরপর সুকান্ত মজুমদারকেও আটকে দেওয়া হয়। এবার গতকালই সন্দেশখালির ১৯ি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারির কথা ঘোষণা করা হয়।এদিকে, আজই সন্দেশখালিতে আসার কথা রয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। সেরকম পরিস্থিতিতে ধামাখালিতে পুলিসে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও রেলিং দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। ফলে সুকান্ত মজুমদারের ওইসব এলাকায় ঢোকা প্রায় অসম্ভব।আজ সন্দেশখালি যাচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার। বর্তমানে তিনি টাকির একটি হোটেল রয়েছেন। সেখান থেকে সড়কপথে যাবেন হাসনাবাদ। সেখান থেকে লঞ্চে হিঙ্গলগঞ্জ। এক্ষেত্রে হয়তো হোটেলেই আটকে দেওয়া হতে পারে সুকান্তকে। আবার  আবার ১৪৪ ধারার কথা বলে সন্দেশখালি সীমান্তেও আটকানো হতে পারে রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে।পুলিস সূত্রে খবর, সন্দেশখালি যেতে গেলে সুকান্তকে নদীপথে যেতে হবে। আর নদীপথে যাতে নতুন করে কোনও আশান্তি না হয় তার জন্য টাকির হোটেলেই আটকে দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদার জানিয়ে দিয়েছেন ৃ তিনি সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করবেনই। তা না হলে টাকিকেই সরস্বতী পুজো করবেন তিনি।  
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)