• মা হওয়ার পরেই পরীক্ষা, মাত্র ২৩ বছরে বিচারপতি হলেন আদিবাসী যুবতী
    আজ তক | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়। সেই সঙ্গে ক্ষুরধার বুদ্ধি। চেষ্টা করলে যে অসাধ্যও সাধন করা যায়, তা প্রমাণ করলেন ভি শ্রীপাথি। মাত্র ২৩ বছর বয়সে তামিলনাড়ু পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কঠিন পরীক্ষায় পাশ করলেন তিনি। হলেন সিভিল কোর্ট জজ। এই পরীক্ষা দেওয়ার কয়েকদিন আগেই মা হন ভি শ্রীপাথি। 

    তিরুপাথুর জেলার পুলিউর গ্রামে ইয়েলগিরি পাহাড়ের বাসিন্দা তিনি। আদিবাসী জনজাতির। তামিলনাড়ুর সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া পাহাড়ি এলাকাগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। এখানে অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়াটাই দস্তুর। ভি শ্রীপাথির ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছিল। বিয়ের পর সাধারণত বেশিরভাগ মেয়েদেরই আর সেভাবে পড়াশোনা করা হয় না। 
    কিন্তু আর পাঁচজনের থেকে একেবারেই আলাদা ভি শ্রীপাথি। তাঁর জীবনে একটাই লক্ষ্য ছিল। আর সেটা হল, একজন বিচারপতি হওয়া। সেই প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্যই প্রস্তুতি চালিয়ে যান তিনি। এমনকি সন্তানসম্ভবা হয়েও প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখেননি। আগের মতোই চালিয়ে যান লড়াই। দেখতে দেখতে পরীক্ষার দিন এসে যায়। এদিকে সন্তানের ডেলিভারির তারিখও এগিয়ে আসে। 

    সন্তানের জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরেই ছিল পরীক্ষার ডেট। নবজাতকের দেখভাল করা, সন্তান প্রসবের শারীরিক ও মানসিক ধকল সামলেই পরীক্ষায় বসেন শ্রীপাথি। শুধু বসেন বললে ভুল হবে, দুর্দান্ত পরীক্ষাও দেন। আর তারপরেই দেশের অন্য়তম কঠিন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় পাশ করেন তিনি। 

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা
    ভি শ্রীপাথির এই কৃতিত্বের কথা পৌঁছায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের কাছেও। শ্রীপথির ছবি-সহ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন তিনি।

    সেখানে লেখেন, 'একটি পিছিয়ে পড়া পাহাড়ি গ্রামের এক আদিবাসী মেয়ে এত অল্প বয়সে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে দেখে আমি আনন্দিত। আমাদের দ্রাবিড় মডেলে সরকার তামিল ভাষায় শিক্ষিতদের জন্য সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দিয়েছে। শ্রীপতির বিচারপতি হিসেবে সিলেকশন হয়েছে জেনে আমি গর্বিত। ওঁর এই পরিশ্রমে পাশে থাকার জন্য ওঁর মা এবং স্বামীকে ধন্যবাদ!'
  • Link to this news (আজ তক)