রণজয় সিংহ: মুখ্যমন্ত্রী জবকার্ড হোল্ডারদের একাউন্টে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা দেওয়ার ঘোষণা করতেই দুর্নীতির অভিযোগ তালিকায় নাম নেই প্রকৃত উপভোক্তাদের। কেন্দ্রের উপর আর নির্ভর করবেন না। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা উপভোক্তাদের দেবে রাজ্য সরকার। ২১ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারের একাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যাবে টাকা। এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই তালিকা অনুযায়ী শুরু হয়েছে সার্ভের কাজ।
আর সেই কাজ শুরু হতেই এবার ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। যারা প্রকৃত উপভোক্তা তাদের নাম নেই তালিকায়। তাদের সার্ভেও হচ্ছে না। কিন্তু তালিকায় নাম রয়েছে এলাকার বিত্তশালীদের। এই অভিযোগেই বিক্ষোভ দেখালেন প্রকৃত উপভোক্তারা। কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল। দুর্নীতির অভিযোগ ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে। এমনকি বিক্ষোভকারীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওই সুপারভাইজারের মেয়ের বিরুদ্ধে।যদিও ব্লক প্রশাসনের দাবি, নতুন কোন তালিকা তৈরি হয়নি। এফটিএ যাদের করা আছে তারাই টাকা পাবে। আর তার সার্ভে হচ্ছে। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝিকোডাঙা গ্রামের ঘটনা। এই গ্রামের জব কার্ড হোল্ডারদের অভিযোগ তারা মাটি কাটার কাজ করে ছিলেন। কিন্তু সেই টাকা পাননি। যেহেতু টাকা বন্ধ রেখে ছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন রাজ্যের পক্ষ থেকে সেই টাকা দেওয়া হবে। তারপরেই জব কার্ড হোল্ডারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে হচ্ছে।কিন্তু উপভোক্তাদের অভিযোগ যারা কাজ করেছেন তাদের বাড়িতে এসে সার্ভে হচ্ছে না। তালিকাতেও তাদের নাম নেই। আর যারা কাজ করেননি এবং এলাকার বিত্তশালী তাদের নাম রয়েছে তালিকায়। নাম রয়েছে অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি রাহানুল হকের, নাম রয়েছে অঞ্চল তৃনমূলের সভাপতি রাশেদুল হকের, নাম রয়েছে স্থানীয় ফজলুল হক নামে এক সরকারি কর্মচারীর, নাম রয়েছে হোসেন আলী নামে একটি স্থানীয়র যার ছেলে সেনাবাহিনীতে কর্মরত, নাম রয়েছে নুরুল ইসলাম নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের, এমনকি এক মৃত ব্যক্তির নামও রয়েছে।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ তারা একেই কাজ করে এতদিন টাকা পেলেন না। আর এখন টাকা দেওয়া হলেও টাকা পাবে ভুল লোক। আরও অভিযোগ সুপারভাইজার নুরুল ইসলাম এই দুর্নীতি করেছেন। মঙ্গলবার দিন বিক্ষোভও দেখান উপভোক্তারা। অন্যদিকে, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ কংগ্রেস ব্লক সভাপতি তথা প্রধান বর্ষা বসাকের বাবা বিমানবিহারী বসাকের দাবি, যাদের এফটিএ করা আছে তালিকায় তাদের নাম এসেছে। সেই তালিকা থেকে ব্লক প্রশাসন সার্ভে করছে। এর মধ্যে পঞ্চায়েতের কিছু করার নেই। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমেন মন্ডলের বক্তব্য নতুন কোন তালিকা বানানো হয়নি। যাদের এফটিএ করা ছিল তাদের নাম এসেছে। সেটা সঠিক কি না দেখার জন্যই সার্ভে হচ্ছে।