• ?কৃষক সমাজ দেশের অন্নদাতা , অপরাধী নন? কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেন ?ভারতরত্ন? ঘোষিত স্বামীনাথনের কন্যা 
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • দিল্লি, ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি ? ভারতের কৃষকরা দেশের অন্নদাতা, তাঁরা অপরাধী নন। তাঁদের সঙ্গে অপরাধীদের মতো আচরণ করা যায় না। এমনই মন্তব্য করলেন দেশের ‘সবুজ বিপ্লব’-এর জনক তথা খ্যাতনামা কৃষিবিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথনের কন্যা মধুরা স্বামীনাথন। কৃষকদের মিছিল রুখতে হরিয়ানা সরকারের লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার প্রতিক্রিয়া হিসাবে মধুরা এই মন্তব্য করেন। তিনি মঙ্গলবার জানান, দেশবাসীর মুখে অন্ন তুলে দেন কৃষকেরা। তাই তাঁদের সঙ্গে কখনও, কোনও অবস্থাতেই অপরাধীসুলভ আচরণ করা উচিত নয় বলে প্রতিক্রিয়া মধুরার। গত বছর সেপ্টেম্বরে মৃত্যু হয়েছে বিজ্ঞানী স্বামীনাথনের।
     
    কৃষিবিজ্ঞানী স্বামীনাথনকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।সেই উপলক্ষে দিল্লির পুসায় ? ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ? -এর তরফে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ যোগ দেন এমএস স্বামীনাথনের কন্যা মধুরা। তিনি জানান, তাঁর বাবা এমএস স্বামীনাথনকে সম্মান জানাতে দেশের কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শুনতে হবে।  মধুরার কথায়, “পাঞ্জাবের কৃষকরা আজ দিল্লির দিকে মিছিল করছেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখেছি, হরিয়ানায় কৃষকদের জন্য জেল তৈরি করা হয়েছে, ব্যারিকেড করা হয়েছে। কৃষকদের রুখতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। মনে রাখা দরকার, এঁরা কৃষক, অপরাধী নন।’’
     

    মধুরা  বলেন, “ ভারতের নেতৃস্থানীয় বিজ্ঞানীদের কাছে অনুরোধ, আমাদের অন্নদাতাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। আমরা তাঁদের অপরাধী ভাবতে পারি না , তাঁদের সঙ্গে সেভাবে আচরণ করতে পারি না। আমাদের সমাধানের পথ খুঁজে বার করতে হবে। আমি মনে করি, যদি এমএস স্বামীনাথনের সম্মান বজায় রাখতে হয় এবং ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে হয়, তা হলে আমাদের কৃষকদের সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে।’’


    গত ৯ ফেব্রুয়ারি স্বামীনাথনের ‘ভারতরত্ন’ সম্মানের  কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। দেশে দুর্ভিক্ষ রুখতে এবং কৃষিক্ষেত্রে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার লক্ষ্যে ছয়ের দশকের শেষে  ভারত সরকার যে ‘সবুজ বিপ্লব’-এর সূচনা করে, তার মূল কান্ডারী ছিলেন স্বামীনাথন। বিশেষ করে পাঞ্জাবে ক্রিসেক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনেন তিনি। সেইসময়  ভারতের খাদ্যসঙ্কট এবং খাদ্যশস্যের জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভরতা যে অনেকটাই  কমানো গিয়েছিল, তা আজও কেউ অস্বীকার করতে পারেন না । 
    কৃষকরা মঙ্গলবার থেকে যে সব দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন স্বামীনাথনকে তার দিশারী বলা যায়। তিনি  ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য প্রণয়ন করেছিলেন এবং তা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছিলেন। স্বামীনাথন কমিশনের সেই প্রস্তাব মেনে নেওয়ার দাবিও করছেন কৃষকরা । 
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)