কিরণ মান্না: ইপিএস মেশিনে অতিরিক্ত ভুতুড়ে স্টক। গ্রাহকদের গালিগালাজ হেনস্তা সহ্য করতে না পারা, তার উপর স্টক মেন্টেন না করতে পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রেশন ডিলার সুকুমার দাস। মৃত রেশন ডিলারের পরিবার রেশন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবী জানালেন।মাসের পর মাস রেশন ব্যবস্থায় ইপিএস মেশিনে খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে ডিলারদের বাড়তি স্টক দেখানো হয়েছে। ৭০-৮০ কুইন্টাল থেকে কোথাও কোথাও ১৫০ থেকে ২০০ কুইন্টাল পর্যন্ত বাড়তি স্টক দেখানো হয়েছে রেশন ডিলারদের একাউন্টে।
এই ভুতুড়ে স্টক নিয়ে বারবার আন্দোলন কিংবা ঊর্ধ্বতন দফতরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এর ফলে পূর্ব মেদিনীপুরে কাঁথি-র টগরিয়া গ্রামের রেশন ডিলার সুকুমার দাস গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।তিনি তাঁর সুইসাইড নোটে লেখেন যে ইপিএস মেশিনে এই অতিরিক্ত স্টক দেখানোর কারণে তিনি তা মেনটেন করতে পারেননি। মঙ্গলবার রেশন গ্রাহকদের রেশন দিতে না পারায়, গ্রাহকদের হাতে হেনস্থা হতে হয় রেশন ডিলার সুকুমার দাসকে। এরপরে মানসিকভাবে তিনি ভেঙে পড়েন। পরে নিজের রেশন দোকানের মধ্যে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।ওই রেশন ডিলারের মৃত্যুর ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়। বুধবার সকালে এম.আর. ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা মৃত রেশন ডিলারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে দাবি করেন সিবিআই তদন্তের।কারণ বারবার সরকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য ও বিগত তিন বছরের সঠিক অডিট করার জন্য রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই সিবিআই তদন্তের দাবি করেন কাঁথি মহাকুমা এম.আর. ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন দাস অধিকারী।