• অতিমারী পরিকল্পনা তৈরি, রাজ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার সুপারিশ আইন কমিশনের...
    আজকাল | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য, নয়া দিল্লি: করোনা অতিমারীর সম্মুখীন হয়েছে দেশ। আচমকা এই ভয়ঙ্কর অতিমারী বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরণের যে কোনও মহামারী বা অতিমারীর জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার সুপারিশ করল আইন কমিশন। সুপারিশের পাশাপাশি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোনও ধরণের মহামারী মোকাবিলায় কেন্দ্র, রাজ্য বা স্থানীয়. প্রশাসনের দায়, দায়িত্ব এবং অধিকার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনও উল্লেখ নেই। এরফলে মহামারীর মোকাবিলায় কোনও সমন্বয়হীন থাকছে না। ১৮৯৭ সালের মহামারী আইনের উল্লেখ করে আইন কমিশন জানিয়েছে, মহামারী বা এই ধরণের যে কোনও ধরণের রোগের মোকাবিলা, নিয়ন্ত্রণ শতাব্দী প্রাচীন আইনের মাধ্যমে হতে পারে না।  আইন কমিশনের ২৮৬তম রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পুরনো বা বর্তমান মহামারী আইনে সংক্রামিত রোগ সহ আধুনিক বিষয়গুলি সম্পর্কে কোনও উল্লেখ নেই। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বায়ন এবং যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সংক্রামিত রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তা পরবর্তীকালে মহামারী বা অতিমারীর রূপ নিতে পারে। করোনার অতিমারীর পরেই দেশে মহামারী সম্পর্কিত আইন স্বতপ্রণোদিতভাবে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় আইন কমিশন। ভবিষ্যতে যে কোনও মহামারীর মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনি ঘাটতি রয়েছে বলে উল্লেখ করা করে কমিশন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঔপনিবেশিক আইন হওয়ায় এর অপব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলিতে ঘাটতি থাকায় রিপোর্টে বর্তমান মহামারী আইন সংশোধন অথবা সবকিছু মিলিয়ে নতুন আইন তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন করে একটি মহামারী পরিকল্পনা এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে আইন কমিশন, যারমাধ্যমে সংক্রামিত রোগের মোকাবিলা করা যায়। আরও বলা হয়েছে, সেখানে সরকারের বিভিন্ন স্তর অর্থাৎ রাজ্য, কেন্দ্র বা স্থানীয় প্রশাসনের করণীয়, দায়িত্ব ও অধিকার সম্পর্কে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে। এরফলে মহামারী, অতিমারী বা স্বাস্থ্যক্ষেত্রের জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলা অত্যন্ত সমন্বয়ের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে।রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারকে মহামারী মোকাবিলা পরিকল্পনা তৈরির সুপারিশ করেছে। এছাড়াও পরিকল্পনা তৈরির আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, দপ্তর, বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সব মহলের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনা যাতে তৈরি, কার্যকর, এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর পুনর্বিবেচনা করা হয়। সেখানেই কোয়ারান্টিন,লকডাউন, আইসোলেশন সম্পর্কিত সমস্ত বিধির উল্লেখ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে আইন কমিশনের রিপোর্টে। তবে সেক্ষেত্রে নাগরিকের মৌলিক অধিকার যেন লঙ্ঘন না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। যে কোনও মহামারী বা অতিমারীর ক্ষেত্রে যাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি না হয়, তারজন্য আগে থেকে স্ট্যাডার্ড অপারেটিং প্রটোকল তৈরির সুপারিশ করেছে আইন কমিশন।
  • Link to this news (আজকাল)