জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজনৈতিক তহবিলে স্বচ্ছতা আনতে রাজনৈতিক দলগুলিতে নগদ অনুদানের বিকল্প হিসাবে ২০১৮ সালে আনা নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটি আজ সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ করার আবেদনে দুটি পৃথক কিন্তু সর্বসম্মত রায় দিয়েছে।নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান যে মন্তব্য করেছেন তাঁর মূল বিষয়গুলি হল। প্রথমত, ‘ইলেক্টোরাল বন্ড স্কিমকে অসাংবিধানিক বলে প্রত্যাহার করতে হবে। এটি সম্ভাব্য কুইড প্রো-কো সম্পর্কে নাগরিকদের তথ্যের অধিকারকে লঙ্ঘন করে’।
তিনি আরও বলেন, ‘ইস্যুকারী ব্যাংক অবিলম্বে নির্বাচনী বন্ডের ইস্যু বন্ধ করবে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদানের বিশদ এবং যে রাজনৈতিক দলগুলি অবদান পেয়েছে তাদের বিবরণ দেবে’।প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলিতে আর্থিক অবদান দুটি তরফের জন্য তৈরি করা হয়। হয় রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করার জন্য, বা quid proquo উপায়ে অবদান রাখার জন্য’।তিনি জানিয়েছেন, ‘সর্বজনীন নীতি পরিবর্তনের অভিপ্রায়ে সমস্ত রাজনৈতিক অবদান করা হয় না। ছাত্র, দৈনিক মজুরি ইত্যাদিও অবদান রাখে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক অবদানে গোপনীয়তার ছাতা না দেওয়া কারণ কিছু অবদান অন্য উদ্দেশ্যে করা হয়’।এই প্রসঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ‘একটি কোম্পানির রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সাধারণ ব্যক্তিদের অবদানের তুলনায় বেশি প্রভাব রয়েছে। কোম্পানির অবদানগুলি সম্পূর্ণরূপে ব্যবসায়িক লেনদেন। ১৮২ ধারায় কোম্পানি আইনের সংশোধনী কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের সমানভাবে আচরণ করার বিষয়ে স্পষ্টতই আর্বিট্রারি’।তিনি আরও বলেন, ‘ইলেক্টোরাল বন্ড স্কিম কালো টাকা রোধ করার একমাত্র স্কিম নয়। অন্যান্য বিকল্পও আছে’।