পুলিসের দাবি উড়িয়ে 'নারী নির্যাতন' তত্ত্বে সিলমোহর জাতীয় মহিলা কমিশনের
২৪ ঘন্টা | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্দেশখালিতে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর রিপোর্ট পেশ করল জাতীয় মহিলা কমিশন।রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও পুলিসের বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মহিলারা।
পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে যে কমিশনের প্রতিনিধি দলকে বিস্তারিত অভিযোগ জানিয়েছেন নির্যাতিতারা। জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে এই বিষয়ে মুখ খোলায় মহিলাদের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি পুরুষ সদস্যদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।এই রিপোর্টে রাজ্য পুলিস ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এখানে জানানো হয়েছে যে কমিশনের সদস্যাদের সঙ্গে কোনওরকম সহযোগিতা করেননি রাজ্য পুলিসের ডিজি।তাঁরা রিপোর্টে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যাদের পুলিসি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন উত্তর চব্বিশ পরগনার পুলিস সুপার। রাজ্যের এই পরিস্থিতিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন।কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে এবার কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা নিজে সন্দেশখালি যাবেন। বুধবার একটি ট্যুইটে জাতীয় মহিলা কমিশন জানায়, ‘NCW সন্দেশখালী মামলায় সঠিক এবং দায়িত্বশীল মিডিয়া কভারেজের অভাবের কারণে উদ্বিগ্ন। আমাদের তদন্ত কমিটি দেখেছে যে পশ্চিমবঙ্গের ভিকটিমকে স্থানীয় পুলিস হুমকি দিচ্ছে, তাদের বাইরে আসতে বাধা দিচ্ছে এবং যৌন ও শারীরিক হয়রানির ঘটনা রিপোর্ট করছে’।পাশাপাশি পুলিসের তরফ থেকেও একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে যে, ‘সন্দেশখালীর ঘটনা নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে গণমাধ্যমের একাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য প্রচার করছে’।তাঁরা আরও জানিয়েছে, ‘এটি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে যে রাজ্য মহিলা কমিশন, ডিআইজি সিআইডির নেতৃত্বে ১০-সদস্যের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল এবং জেলা পুলিসের তদন্তের সময়ে এখনও পর্যন্ত মহিলাদের যৌন নির্যাতনের কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি’।তাঁরা বলেন, ‘সম্প্রতি সন্দেশখালী সফরের পর জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন যে তাদের তদন্তের সময় স্থানীয় নারীদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের কোনও অভিযোগ তারা পাননি’।পুলিসের তরফে আরও বলা হয়, ‘এটি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে যে প্রাপ্ত সমস্ত অভিযোগ এবং অভিযোগ যথাযথভাবে তদন্ত করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটি দ্ব্যর্থহীনভাবে স্পষ্ট করা হচ্ছে যে ভিত্তিহীন ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য মিডিয়ার অংশগুলির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।