• রাজ্যকে গুরুত্ব ১৬ তম অর্থ কমিশনের
    আজকাল | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য,দিল্লি: প্রথম বৈঠকেই রাজ্যগুলির মতামত এবং বিস্তারিত আলোচনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে ১৬তম অর্থ কমিশন। বুধবার দিল্লিতে চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগরিয়ার নেতৃত্বে বৈঠক হয়। সেখানেই বলা হয়, রাজ্যগুলির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন। মোদি সরকারের আমলে রাজ্যগুলির মতামত লঘু এবং গুরুত্বহীন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই সময়ে অরবিন্দ পানাগরিয়া তথা অর্থ কমিশনের মতামত যথেষ্ঠ গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ। করের ভাগ এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্যগুলির মতামত নেওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছে অর্থ কমিশন।সূত্রের খবর, রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে করের ভাগ নিয়ে সুপারিশ করবে অর্থ কমিশন। সূত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে, চলতি পরিস্থিতিতে বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্যগুলির অর্থের জোগান সহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবে কমিশন। রাজ্যগুলির স্থানীয় প্রশাসন, অর্থাৎ পুরসভা বা পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদস্তরে কাজে যাতে অর্থের ঘাটতি না হয়, এবং রাজ্য ও নীচুস্তরে যাতে অর্থের জোগান বৃদ্ধি পায়, তার লক্ষ্যে সুপারিশ করবে অর্থ কমিশন। মূলত রাজ্যগুলিকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করার পক্ষে জোর দিয়েছে কমিশন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভাষণে সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং রাজ্যগুলিকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দেশকে শক্তিশালী করে তোলার কথা বললেও, মোদি জমানায় রাজ্যগুলিকে বিশেষ করে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যগুলিকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল থেকে শুরু করে বিরোধীরা। সেই কথাই উঠে এসেছে অর্থ কমিশনের বৈঠকে। কমিশনের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাজ্য, স্থানীয় প্রশাসন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করা এই মূহুর্তে জরুরি। এরজন্য প্রয়োজনে গবেষণা ও সমীক্ষা সংস্থা, থিংক ট্যাঙ্ক এবং অর্থনৈতিক নানান কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও যত বেশি সম্ভব বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছে ১৬তম অর্থ কমিশন। ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে অর্থ কমিশন। ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৫ বছর সেই সুপারিশ কার্যকর থাকবে।গত ৩১ জানুয়ারি ১৬তম অর্থ কমিশনের ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। কমিশনে ৩ জন পূর্ণ সময় এবং একজন আংশিক সময়ের সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। পূর্ণ সময়ের সদস্যদের মধ্যে প্রাক্তন খরচ সংক্রান্ত বিভাগের প্রাক্তন সচিব ও ১৫তম অর্থ কমিশনের প্রাক্তন সদস্য অজয় নারায়ণ ঝা, খরচ বিভাগের প্রাক্তন স্পেশাল সেক্রেটারি অ্যানি জর্জ ম্যাথু, অর্থ গ্লোবালের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নিরঞ্জন রাজাধক্ষ। ১৬তম অর্থ কমিশনের আংশিক সময়ের সদস্যে হিসেবে রয়েছেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সৌম্য কান্তি ঘোষ। গত ডিসেম্বরেই নীতি আয়োগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগরিয়াকে ১৬তম অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করে মোদি সরকার।
  • Link to this news (আজকাল)