• তদন্তের ধীর গতি সিবিআইয়ের
    আজকাল | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য,দিল্লি: বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অতিসক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে মোদি সরকারের। সিবিআইয়ের তদন্তের অত্যন্ত ধীর গতি এবং তাদের কর্মক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার। সেই অভিযোগই প্রমাণ হয়েছে দপ্তরের বার্ষিক রিপোর্টে। ২০২২-২৩ সালের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কর্মিবর্গ মন্ত্রক। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩ মাস থেকে ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে বকেয়া রয়েছে মোট ১,০২৫টি মামলা। তারমধ্যে রয়েছে ৯৪৩টি এফআইআর এবং ৮২টি প্রাথমিক তদন্ত।বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, "১,০২৫টি মামলা ছাড়াও, লোকপালের করা ২৩টি সুপারিশও বকেয়া পড়ে রয়েছে। মোট ৯৪৩টি মামলার মধ্যে ৪৪৭টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। এছাড়াও ৮২টি প্রাথমিক তদন্তের মধ্যে ৬০টির প্রাথমিক তদন্তই বকেয়া রয়েছে তিনমাসের বেশি সময়।" রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে এমন ঘটনার ক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে মোট ১০,৭৩২টি মামলা। কর্মিবর্গ মন্ত্রকের তরফে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে ৫৫৭টি মামলায় রায় প্রদান করেছে আদালত। তারমধ্যে ৩৬৪টি মামলায় শাস্তি প্রদান হয়েছে, ১১১টিতে অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে, ১৩টি মামলা বরখাস্ত করা হয়েছে। কর্মিবর্গ মন্ত্রকের বক্তব্য, সব মিলিয়ে সিবিআই তদন্ত করে শাস্তিপ্রদানের হার ৭৪.৫৯ শতাংশ। দপ্তরের তরফে বলা হয়েছে, সিবিআই কখনও প্রথমেই কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না। কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন, সাংবিধানিক আদালত বা সরকারি সুপারিশের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ফলে কেন্দ্রীয় এই তদন্ত সংস্থার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে ৯৪৬টি তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। তারমধ্যে ১০৭টি সাংবিধানিক আদালতের সুপারিশে এবং ৩০টি ঘটনার তদন্তের জন্য আবেদন করেছিল রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। লোকপালের তরফে ২৮টি ঘটনার তদন্তের সুপারিশ এসেছে বলে রিপোর্টে জানিয়েছে কর্মিবর্গ মন্ত্রক।
  • Link to this news (আজকাল)