• দিল্লির রঙের কারখানা ভস্মীভূত, মিলল ১১টি ঝলসে যাওয়া দেহ
    আজ তক | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লির আলিপুর মার্কেটের একটি রঙের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় অত্যন্ত সংকীর্ণ এলাকায় অবস্থিত এই কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করছিলেন এবং আগুন লাগার পর তারা বের হতে পারেননি। মৃতের সংখ্যা ১১ তে পৌঁছেছে। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে আগুনের লেলিহান শিখা অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের দোকান ও কয়েকটি বাড়িও আগুনের কবলে পড়ে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, শ্রমিক ছাড়াও কয়েকজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। গভীর রাত পর্যন্ত আগুন নেভানোর কাজ চলে এবং সকালে ফায়ার ব্রিগেড আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    দমকলের গাড়ি পৌঁছনোর আগেই আগুন এতটাই বড় হয়ে গিয়েছিল যে আলিপুরের বাজার থেকেও শিখা দেখা যায়। আগুন লাগার পর কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। অগ্নিকাণ্ডের পর ধোঁয়ায় আশপাশের বাড়িঘর ভর্তি হয়ে লোকজন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পাশের একটি বিল্ডিং থেকে আহত তিনজনকে এলএনজেপি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

    ফায়ার ব্রিগেডের ২২টি গাড়ি কয়েক ঘণ্টার পরিশ্রমের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আলিপুরের পাশাপাশি কেশব নগর ও ইব্রাহিমপুরেও অনেক রাসায়নিক গুদাম তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই পুরো এলাকায় আগুন মোকাবিলার কোনও যথাযথ ব্যবস্থা নেই। কারখানাটি সোনিপতের বাসিন্দা অশোক জৈনের ছেলে অখিল জৈন চালাচ্ছিলেন৷ এনডিআরএফ দমকল বিভাগের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। রং কারখানা থেকে মোট ১১টি দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা রয়েছে। মৃতদেহগুলো বিজেআরএম হাসপাতালে রাখা হয়েছে এবং শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে আলিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের (ডিএফএস) এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে তারা বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কারখানায় আগুনের খবর পান। এর পরে ২২টি ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
  • Link to this news (আজ তক)