• তৃতীয় বৈঠকে মেলেনি রফাসূত্র, কৃষকদের আজ 'ভারত বন্ধ'-এর ডাক
    আজ তক | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • Famers Protest: একদিকে পঞ্জাবের কৃষকরা, যাঁরা দিল্লির উদ্দেশে এগোচ্ছেন। পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চলছে সংঘর্ষ। অন্যদিকে, ইউনাইটেড কিষাণ মোর্চা ১৬ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার 'ভারত বন্ধ' পালনের ডাক দিয়েছে। 'ভারত বন্ধ'-এ পঞ্জাবের কৃষকদের সঙ্গে যোগ দেবে দেশের সমস্ত কৃষক ইউনিয়ন। পঞ্জাব থেকে হরিয়ানা, দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ পর্যন্ত হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কেন্দ্রীয় সরকার ও কৃষক সংগঠনের তৃতীয় দফার আলোচনাও ব্যর্থ হয়। দিল্লির সমস্ত সীমান্তে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষক সংগঠনগুলিকেও শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে বলা হচ্ছে। 

    গত ১৩ ফেব্রুয়ারি, পঞ্জাবের কৃষকরা দিল্লির উদ্দেশে পদযাত্রার কথা ঘোষণা করেছিল। ৩ দিনের জন্য, পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী কৃষকদের পঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমান্তে এক মিটারও এগিয়ে যেতে দেয়নি। তবে ১৬ ফেব্রুয়ারি শুধু পঞ্জাবের কৃষকই নয়, সারা দেশের কৃষক সংগঠনগুলিও তাদের দাবি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে দাঁড়াবে।

    সিঙ্ঘু সীমান্তে সেনাবাহিনীর মহড়া শুরু
    কৃষকদের এমএসপি গ্যারান্টি সহ মোট ১৩টি দাবি রয়েছে। কৃষকরা বলছেন, সরকার তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে না। এর জন্য সারা দেশে কৃষকেরা ইউনাইটেড কিষান মোর্চার নেতৃত্বে ভারত বন্ধ পালন করছে। পঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমান্তে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি ভারত বন্ধের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে মহড়া শুরু করেছে আধাসামরিক বাহিনী ও দিল্লি পুলিশের কর্মীরা।  

    সারা দেশের কৃষকরা ভারত বন্ধে যোগ দিচ্ছেন, তাই দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর সীমান্তেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারত বন্ধকে কেন্দ্র করে কৃষক সংগঠনগুলি ইউপি গেটে পৌঁছবে বলে জানা যাচ্ছে। গাজিপুর সীমান্তে কড়া প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

    কী কী স্তব্ধ হতে পারে?
    - সবজি এবং অন্যান্য ফসলের সরবরাহ, ক্রয় এবং বিক্রয় ১৬ ফেব্রুয়ারি স্থগিত থাকবে।
    - সবজির বাজার, শস্যের বাজার, সরকারি-বেসরকারি অফিস, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও গ্রামীণ এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
    - শহরের দোকানপাটও বন্ধ রাখা হবে।
    - - বেসরকারি ও সরকারি যানবাহনও চলবে না। রুটটি শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স, বিয়ের গাড়ি, হাসপাতাল, সংবাদমাধ্যমের গাড়ি, পরীক্ষা দিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের যানবাহন এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবার জন্য খোলা হবে।
    - পঞ্জাবের বেসরকারী বাস শিল্প, পঞ্জাবের কৃষক সংগঠনের ভারত বন্ধের ডাককে সমর্থন করে, ঘোষণা করেছে যে ১৬ তারিখে পঞ্জাবে সমস্ত ব্যক্তিগত বাস বন্ধ থাকবে।
     
  • Link to this news (আজ তক)