• দেবী রাজ রাজেশ্বরীর পুজো শুরু হল সুতির গ্রামে
    আজকাল | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার সপ্তমীর সকালে মুর্শিদাবাদের সুতি ব্লকের-১ রাজুয়া দীঘিতে মঙ্গলঘটে জল ভরে শুরু হল রাজ রাজেশ্বরী মায়ের পুজো। মুর্শিদাবাদ জেলার সুতির বংশবাটি গ্রামের অন্যতম সেরা উৎসব রাজ রাজেশ্বরী দুর্গোৎসব।মাঘ মাসে শীতের বিদায়লগ্নে পূজিত হন দেবী রাজ রাজেশ্বরী। প্রতিবছর এই পুজো উপলক্ষ্যে আনন্দে মেতে ওঠেন সাধারণ মানুষ। দেবীর দর্শন পেতে মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলার বিভিন্ন গ্রামের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড এবং বিহার থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। বসে মেলা। যাত্রা, বাউলগান, নাটক ও কবিগানের আসরে সাধারণ মানুষের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো।  রাজ রাজেশ্বরী দুর্গোৎসব সম্প্রীতির উৎসব। হিন্দু, মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এই পুজোয় শামিল হন। মহাসপ্তমী তিথিতে রাজ রাজেশ্বরী মায়ের পুজো শুরু হয়, চলে পরবর্তী পূর্ণিমা অর্থাৎ মাঘী পূর্ণিমা পর্যন্ত।  মন্দিরের পুরোহিত নিতাই চক্রবর্তী এবং বাবুরাম মজুমদার বলেন,"রাজ রাজেশ্বরী হলেন দেবী দুর্গার ষোড়শী রূপ। এখানে দেবী শবাসনে বিরাজমানা।" বংশবাটির মন্দিরে দেবী প্রতিমা কাঠামোতে শব রূপী শিব শায়িত থাকেন। শিবের নাভি থেকে প্রস্ফুটিত হয় দু"টি পদ্ম। দেবী রাজরাজেশ্বরী শবাসনে বিরাজ করেন আর ধরিত্রীকে ধারণ করে থাকেন। দেবীর সঙ্গে একই কাঠামোতে বিরাজ করেন চতুর্মুখী ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর এবং ধর্মরাজ। মা রাজ রাজেশ্বরী চতুর্ভূজা। তাঁর দু"পাশে থাকেন দুই সখী জয়া এবং বিজয়া। দেবীর বাহন সিংহ। জনশ্রুতি রয়েছে, বহু বছর আগে ভয়ঙ্কর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল বংশবাটি গ্রাম । সেইসময় রাজুয়া দীঘি নামে একটি বৃহৎ জলাশয় থেকে দেবী রাজ রাজেশ্বরী উঠে এসে গোটা গ্রামকে রক্ষা করেন। তারপর থেকেই দেবী রাজ রাজেশ্বরী, ওই গ্রামে দেবী দুর্গা হিসেবেই পূজিতা হয়ে আসছেন। এখানে দশমীর দিন দেবী রাজ রাজেশ্বরীর বিসর্জন হয় না। দশমী শেষে পূর্ণিমা পার করে কোনও একটি শুভদিনে দেবীর বিসর্জন হয়। ভক্তদের কাঁধে চাপিয়ে দেবীকে নিরঞ্জনের জন্য রাজুয়া দীঘিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
  • Link to this news (আজকাল)