প্রবীর চক্রবর্তী: শুক্রবার একটি সাংগঠনিক বৈঠক হয় তৃণমূলের অন্দরে। জানা গিয়েছে এই বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে আমার নেতা সম্বোধন করে সভা শুরু করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
বৈঠকে তিনি বলেন, ‘২৯ ও ৩০ মার্চ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে আন্দোলনের কথা বলেছিলেন। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আম্বেদকর মূর্তির নীচে বসেন। এর মাঝে দিল্লিতে অভিষেকের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলন আমাদের ভোলার নয়। যন্তরমন্তরে আমাদের সভা অবধি হয়েছিল। আমরা কৃষি ভবনে যাই। আমাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেখা করেননি’।তিনি আরও বলেন, ‘মহিলা সাংসদ ও নেত্রীরা চুপচাপ বসে ছিলেন। কিন্তু সেদিন বিনা প্ররোচনায় মারধর করে বার করা হয়। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করা হয়। দিল্লি পুলিস আমাদের কথা শোনেনি। তারা অতি তৎপর হয়। আমাদের দিল্লি পুলিস দিল্লি শহর ঘুরিয়ে এক জায়গায় নিয়ে যায়। নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি করে। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায় রাজভবনের সামনে বসে অবস্থান করেন। চারদিন ধর্ণা অবস্থান করেন। রাজ্যপাল আমাদের সঙ্গে দেখা করেন। আমাদের নেতা সব কথা তাকে বলেন। তাকে বলেন যেন প্রকৃত প্রাপকদের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ধরনা তোলা হয়’।সুব্রত বক্সি আরও বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করেছেন অর্থ ফেরত দিতে। আম্বেদকর মূর্তির নীচে অবস্থান করেন। লোকসভা অধিবেশনের সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্য ও কেন্দ্র অফিসার লেভেলে আলোচনা হয়। যদিও আমরা যেই তিমিরে ছিলাম সেই তিমিরেই আছি। মমতা বন্দোপাধ্যায় টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আগামী পয়লা মার্চ থেকে টাকা দেওয়া হবে’।সুত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে সুব্রত বক্সি আরও বলেন যে তিনি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে বলবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়কে মাথায় রেখে তাঁর নেতৃত্বে লোকসভায় কাজ শুরু হবে। জেলায় জেলায় ঘুরে তিনি সভা করেছেন। নবজোয়ার যাত্রা করেছেন। জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত ও প্রচার কমিটি করা হোক। তিনি বলেন যে তাঁরা চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে লড়তে।