বহু কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা মামলায় সেবির কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
২৪ ঘন্টা | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতিবেদনের শুরুতেই ফিরে যেতে হবে বছর চব্বিশ আগে। তখন ছিল অবিভক্ত মেদিনীপুর! এগরার এক কৃষক বন্ধু প্লান্টেশন কোম্পানি লিমিটেড তখন মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মতো কিছু অফিস খুলে বসেছিল! ২০০৫ সাল পর্যন্ত সেই কোম্পানি তার আমানতকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি নিয়েছিল বলেই অভিযোগ।কোম্পানির পক্ষ থেকে আমানতকারীদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে, আট বছরের মধ্যে তাদের দ্বিগুণ টাকা দেওয়া হবে। ঘটনাচক্রে ২০০৫ সালেই আমানতকারীদের চাপে ওই কোম্পানির সকল শাখাগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এগরার মূল অফিসটি খোলা ছিল গতবছর পর্যন্তও। যা পরে বন্ধ করে দেয় কোম্পানি। সংস্থার ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর অর্থাৎ এমডি সমীরণ পন্ডার বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা গুরুতর অভিযোগ আনেন। তাঁদের দাবি কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও, কোম্পানির নামে থাকা যাবতীয় সম্পত্তি ও জমি বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করছেন খোদ এমডি! বহু কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে!এই পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ আমানতকারীরা সর্বস্ব খুইয়ে, প্রশাসনের দুয়ারে কড়া নেড়েছিলেন। কিন্তু কোনও প্রশাসনিক তৎপরতা না দেখায়, তাঁরা বাধ্য় হয়েই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। মামলার গুরুত্ব বুঝেই প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে মামলা স্থানান্তরিত করে দেন।শুক্রবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন, আমানতকারীদের আইনজীবী আশিষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, একটি কোম্পানি বন্ধ হওয়ার পরেও, কীভাবে পরিচালকমণ্ডলীর সদস্য কোম্পানির নামে থাকা জমি বিক্রি করে দিতে পারেন? কীভাবেই বা সেই টাকা আত্মসাৎ করতে পারেন? এই বিষয়ে প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও সদুত্তর না পাওয়ার বিষয়টিও আইনজীবী তুলে ধরেন। আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য় তিনি বিষয়টি সেবির (SEBI) নজরাধীন করার কথাও বলেছেন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ সেবির কাছে রিপোর্ট তলব করে, পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে আদালতের রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয়।