স্কুলের মধ্যে পড়ুয়াদের ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে...
আজকাল | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস চলার সময় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে চাকু, ব্লেড এবং অন্যান্য ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার ৪৬ নম্বর শেরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। অভিযোগ, আজ দুপুরে স্কুল চলাকালীন প্রধান শিক্ষক রঘুপতি সর্দার কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে চাকু এবং ব্লেড নিয়ে ভয় দেখান। প্রধান শিক্ষকের এই অস্বাভাবিক আচরণে কয়েকজন ছাত্র ভয় পেয়ে বাড়িতে এসে অভিভাবকদেরকে গোটা বিষয়টি জানালে কয়েকশো গ্রামবাসী স্কুলে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্কুলের সামনে বিক্ষোভ শুরু হতেই প্রধান শিক্ষক অফিস ঘরের দরজা বন্ধ করে লুকিয়ে পড়েন। তবে উত্তেজিত জনতা দরজা ভেঙে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘটনার খবর পেয়ে সামশেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকাতে পৌঁছয়। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, "উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই সামশেরগঞ্জ থানাতে নিয়ে আসা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়েনি। অভিযোগ জমা পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- শেরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঘুপতি সর্দার আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সাগরদিঘির বাসিন্দা রঘুপতিবাবু স্কুলের মধ্যে মাঝেমধ্যেই অস্বাভাবিক আচরণ করতেন বলে অন্যান্য সহশিক্ষকদের দাবি। কিছুদিন আগেও স্কুলের মধ্যে একবার ছাত্রছাত্রীদেরকে ভয় দেখানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল গোটা এলাকা। এক অভিভাবিকা বলেন, "স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাঝে মধ্যেই অস্বাভাবিক আচরণ করেন। আজ কয়েকজন ছাত্র প্রস্রাব করতে যাব বলাতে তিনি তাদেরকে চাকু দেখিয়ে ভয় দেখাতে থাকেন। অন্য কয়েকজনকে ধারাল ব্লেড বার করে ভয় দেখান তিনি। আমরা এই প্রধান শিক্ষকের অন্যত্র বদলির দাবি জানাচ্ছি।" ধুলিয়ান চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক হোসনেয়ারা খাতুন বলেন, "ওই প্রধান শিক্ষকের অস্বাভাবিক আচরণের বিষয়টি কিছুদিন আগেই অন্য কয়েকজন সহকারী শিক্ষক আমাকে জানিয়েছিলেন। গত ১২ তারিখ আমি ওই স্কুল পরিদর্শন করে মৌখিকভাবে প্রধান শিক্ষককে সতর্ক করেছিলাম। গত ১৬ তারিখে লিখিতভাবেও প্রধান শিকক্ষককে তাঁর আচরণের জন্য সতর্ক করা হয়। ফের তিনি কেন এমন আচরণ করলেন সেটি আমার কাছে এখনও স্পষ্ট নয়।"