জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঞ্চ প্রস্তুতই ছিল তাঁর জন্য়। সতীর্থরা দিয়েছেন গার্ড অফ অনারও। রবিবার অর্থাৎ আজ ইডেন গার্ডেন্সে বাংলা ইনিংস ও ২০৪ রানে হারাল বিহারকে। আর এর সঙ্গেই মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary) বাইশ গজকে জানালেন বিদায়। বাংলার সর্বকালের অন্য়তম সেরা ক্রিকেটার হয়ে গেলেন প্রাক্তন। জীবনের শেষ ইনিংসে তিনি করলেন তিরিশটি রান। গতবারের রানার্স বাংলা সাত ম্য়াচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে এই মরসুমে রঞ্জি শেষ করল। জোড়া জয়, তিনটি ড্র ও জোড়া হার মনোজদের। ১৯৮৯-৯০ মরসুমে শেষবার বাংলা রঞ্জি চ্য়াম্পিয়ন হয়েছিল। দীর্ঘ ৩৫ বছরের খরা কাটিয়ে ভারতসেরা হওয়া হল না মনোজ অ্যান্ড কোংয়ের। গত ম্য়াচে কেরলের কাছে হেরেই রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল লক্ষ্মীরতন শুক্লার শিষ্যদের। গতবছর তীরে এসে তরী ডুবেছিল বাংলা ব্রিগেডের। মনোজের টিম ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু সৌরাষ্ট্রের কাছে নয় উইকেটে হারতে হয়েছিল বাংলাকে। মনোজ বলেছিলেন যে, তিনি আরও এক মরসুম খেলে রঞ্জি জয়ের স্বপ্নকে ধাওয়া করবেন। কিন্তু মনোজের অধরাই থেকে গেল মাধুরী! মনোজ তাঁর ১৮ বছরের বর্ণময় কেরিয়ার শেষ করলেন এদিন। ৩৯ বছরের হাওড়ার বাসিন্দা, ২০০৬ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক করেন। নিজের প্রতিভার প্রদর্শনেই ২০০৮ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যান। তবে তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার একেবারেই দীর্ঘায়িত হয়নি। ১২টি ওডিআই (২৮৭ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৪) ও তিনটি টি-২০আই (১৫ রান) খেলারই সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি রাজত্ব করেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে করেছেন ১০ হাজার ১৯৫ রান। ৩০টি সেঞ্চুরি ও ৪৫টি অর্ধ-শতরান রয়েছে তাঁর নামের পাশে। মনোজের সর্বাধিক স্কোর অপরাজিত ৩০৩। আইপিএলেও চুটিয়ে খেলেছেন মনোজ। ঘরের ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স ছাড়াও, রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস (বর্তমানে এই দলের অস্তিত্ব নেই) ও পঞ্জাব কিংসে খেলেছেন মনোজ। ২০১২ সালে তিনি কেকেআরের সঙ্গে জিতেছেন আইপিএলও। আপাতত পুরো দমেই রাজনীতিতেই মনোনিবেশ করবেন মনোজ। ভুলে গেলে চলবে না তিনি রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। এদিন বিকেলে সিএবি-র তরফে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হবে।