বীরেন ভট্টাচার্য, নয়া দিল্লি: দলের দুদিনের জাতীয় সম্মেলনের শেষ পর্বে দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দলে সভাপতি জেপি নাড্ডাও এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন। বিজেপির প্রথম সারির তিন নেতার বক্তব্যেই উঠে আসে কংগ্রেস, ইন্ডিয়া জোট এবং রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারবাদ এবং দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন আগামী ১০০ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এদিনের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি দাবি করেন, শুধুমাত্র ক্ষমতা দখলের জন্য নয়, দেশের জন্য কাজ করার উদ্দেশেই তাঁর তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন। তিনি বলেন, "আগামী ১০০ দিনে আপনাদের প্রত্যেকটি নতুন ভোটারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে, প্রত্যেক প্রকল্পের উপভোক্তা, প্রতিটি ক্ষেত্র বা স্তর, প্রত্যেক সম্প্রদায়, সব ধর্মে বিশ্বাসী মানুষদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।" দলের নেতাদের সামনে এদিন ৩৭০ আসন দখলের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। গত বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের জবাবি ভাষণে প্রথম তিনি বিজেপির ৩৭০ আসনে জেতার লক্ষ্যমাত্রার কথা বলেন। তারপর থেকেই এই লক্ষ্যমাত্রার কথা বারবার দলের নেতা কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। দলের জাতীয় সম্মেলনেও তার অন্যথা হয়নি। আজকের সভায় তিনি বলেন, "আজ বিরোধীরাও বলছে এনডিএ জোট ৪০০ পার করে যাবে। তবে এনডিএ জোট ৪০০ আসন পেতে হলে, বিজেপিকে ৩৭০ আসন পেতেই হবে।" কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি আরও বলেন, "কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় পাপ হল, তারা দেশের সেনা বাহিনীর প্রতি বিশ্বাস রাখেনি। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং দেশের বাহিনীর মনোবল ভাঙতেও তারা দুবার ভাবেনি।" দলীয় নেতৃত্বকে তিনি জানান, "নির্বাচন দোরগোড়ায় তবে জুলাই, আগষ্ট এবং সেপ্টেম্বরে আমার বিদেশে আমন্ত্রণ আছে। এর অর্থ কী। বিশ্বের সব দেশই আত্মবিশ্বাসী যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় ফিরবে। তারাও জানে, মোদিই ক্ষমতায় ফিরবে।"দলীয় সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ করে বলেন, "রাজনীতিতে তাদের উদ্দেশ্য কী। সোনিয়া গান্ধী রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান, শারদ পাওয়ার কন্যাকে মুখ্যমন্ত্রী চান, মমতা ব্যানার্জি তাঁর ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চান, স্ট্যালিন তাঁর পুত্রকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চান, লালু প্রসাদ যাদব, উদ্ধব ঠাকরে, মুলায়ম সিং যাদব তাঁদের ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চান।"