জাপানের জঙ্গলে আর শোনা যাবে না জাসসো জোয়াসা! বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নগ্ন মানুষের উৎসব, কেন জানেন'
২৪ ঘন্টা | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নেকেড অর্থাৎ নগ্ন হয়ে উৎসব পালন হয় জাপানে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও প্রতিবছর রীতি মেনে ঘটা করে পালিত হয় এই 'নেকেড মেন' ফেস্টিভ্যাল। তবে এই বছরই সম্পাতি ঘটল এই ফেস্টিভ্যালের। পরের বার থেকে আর অনুষ্ঠিত হবে না এই 'নেকেড মেন' ফেস্টিভ্যাল। জানা গিয়েছে, জাপানের জনসংখ্যার হার কমতে শুরু করেছে। যুব সম্প্রদায়ের থেকে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপান এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এর ফলে অগণিত স্কুল, দোকান এবং পরিষেবাগুলি বন্ধ করতে বাধ্য করেছে, বিশেষ করে ছোট বা গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে।
এই উৎসব পালন করা হয় জাপানের কোকুসেকি মন্দিরে। এই মন্দিরের সোমিনসাই উৎসব চন্দ্র নববর্ষের সপ্তম দিন থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হত। যুগ যুগ ধরে বছরের দ্বিতীয় মাসের তৃতীয় শনিবার ঘটা করে পালিত হয় এই উৎসব। মন্দির কর্তৃপক্ষ এই বার্ষিক অনুষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা মনে করেছে, এই উৎসব স্থানীয় বয়স্কদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই উৎসবের আচারবিধি তাঁদের জন্য পালন করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাপানের 'নেকেড মেন' ফেস্টিভ্যালের এক নাম সোমিনসাই উৎসব। কোকুসেকি মন্দিরে পালিত হয় এই উৎসব। এই অনুষ্ঠানে জাপানের শত শত পুরুষেরা ছোট সাদা কাপড় জড়িয়ে সামিল হয়। সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত পুরুষেরা বরফে জলে স্নান করে শুদ্ধ হয়। তারপরে কয়েক ঘণ্টা 'জাসো জয়সা'বলে স্লোগান দিতে দিতে মন্দিরের চারপাশে দৌড়ায়। এরপরে মন্দিরের পুরোহিত মাঠে ১০০ মন্তপূত লাঠি ছড়িয়ে দেন। এই লাঠি সংগ্রহ করার জন্য লেগে পড়ে পুরুষেরা। কারণ এই অনুষ্ঠানের রীতি অনুযায়ী, যে ওই লাঠি নিতে পারবে তার সারাবছর ভালো যাবে। কিন্তু ওই লাঠি দখল করা মোটেই সহজ হয় না। কারণ লোকসংখ্যার থেকে লাঠির সংখ্যা থাকে কম। ফলে লাঠি হাতানোর জন্য পুরুষদের মধ্যে মারপিট লেগে যায়। শেষমেষ রক্তাক্ত শরীরে শেষ হয় নেকেড ফেস্টিভ্যাল বা উলঙ্গ উৎসব। 'নেকেড মেন' ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করেন কম বয়সী বা মধ্যবয়সী পুরুষেরা।কোনও মহিলারা এই উৎসবে অংশগ্রহণ নেয় না। তবে এইবার উল্লেখযোগ্যভাবে মহিলাদের অংশগ্রহণের অনুমতি মিলেছিল। মহিলারা দীর্ঘদিন ধরে আবেদন জানিয়েছিল। সেই অনুরোধ মেনেই এইবছর ৪০ জন মহিলা নগ্ন হয়ে সামিল হওয়ার অনুমতি দিয়েছিল জাপান সরকার। এই উৎসব সবচেয়ে বেশি ভিড় আকর্ষণ করে।