সুকান্ত ইস্যুতে লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটির তলবে সুপ্রিম-স্থগিতাদেশ ...
আজকাল | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আবু হায়াত বিশ্বাস, দিল্লি: পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে তলব করেছিল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি। ওই তলবের ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ৪ সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানি হবে। সন্দেশখালি কাণ্ডে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উপর হামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিক-সহ পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল প্রিভিলেজ কমিটি। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যসচিব। সোমবার বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কপিল সিবাল ও অভিষেক মিনু সিংভি। কপিল সিবাল জানান, "সন্দেশখালির ঘটনা একটা রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল। সেখানে একজন সাংসদের স্বাধিকার ভঙ্গের কোথাও কোনও প্রশ্ন নেই। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছিল। তাছাড়া সুকান্ত মজুমদার ওই এলাকার সাংসদ নন। সিবাল জানান, ৩৮ জন পুলিশ অফিসার জখম হন। যার মধ্যে ৮ জন মহিলা অফিসার। নিজেদের দলের মহিলা সদস্য ওই বিজেপি সাংসদকে ধাক্কা মারেন, আমাদের কাছে ভিডিও আছে। সেই ভিডিও আদালত চাইলে দেখাতে পারি।" সিবাল আরও জানান, যেদিন ঘটনা ঘটেছিল, ঘটনাস্থলে মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, এসপি কেউই ছিলেন না। তাঁদের কেন এক্ষেত্রে তলব করা হয়েছে। এই বিষয়টি কোনওভাবেই প্রিভিলেজের আওতায় পড়ে না।অপরদিকে সুপ্রিম কোর্টের পুরনো রায়ের কথা উল্লেখ করে অভিষেক মনু সিংভি জানান, সাংসদরা আইনের ঊর্ধ্বে নন। লোকসভার সচিবালয়ের তরফে আইনজীবী দেবাশীষ ভারুকা আদালতে জানান, সংসদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেবলমাত্র নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের অভিযুক্ত হিসেবে তলব করা হয়নি। শুধুমাত্র তথ্য নিশ্চিত করার জন্য। স্পিকার নোটিশ পেলে, তিনি পদ্ধতি অনুযায়ী প্রিভিলেজ কমিটির কাছে উল্লেখ করেন। এটা রুটিন প্রক্রিয়া। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চ্ন্দ্রচুর জানান, সংসদীয় কমিটির তলব আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। সব পক্ষকে নোটিস ইস্যু করেছে। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে হবে।