'ক্ষমা চাইছি', অচল আধার সচল করার পথ বাতলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
২৪ ঘন্টা | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আধার বাতিল হয়েছে বহু মানুষের। রাঁচি থেকে সেই চিঠি পেয়ে দুশ্চিন্তায় স্থির থাকতে পারছেন না বর্ধমানের জামালপুর ও নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বহু মানুষজন। তৃণমূল এনিয়ে সরব। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিপাকে রাজ্য বিজেপিও। ফলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, রাজ্য বিজেপির সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, আধার নিয়ে যা হয়েছে তার জন্য ক্ষমা চাইছি। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট হচ্ছে। এনিয়ে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও আমি সাক্ষাত করে বিষয়টি বলেছি। মাণনীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আধার ডিঅ্য়াক্টিভেশনের যে প্রক্রিয়া চলছিল তা বন্ধ হয়েছে। যাদের কার্ড ডিঅ্য়াক্টিভেট হয়ে গিয়েছে তাদের কার্ডও অ্যাকটিভ হয়ে যাবে।
কীভাবে অচল কার্ড সচল হবে?শান্তনু ঠাকুর বলেন, অমিত শাহজি বলেছেন যাদের কার্ড ডিঅ্য়াক্টিভেট হয়ে গিয়েছে তা অ্যক্টিভেট করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে আমাকে। যাদের কার্ড অচল হয়ে গিয়েছে তাদের কার্ড অ্য়াক্টিভেট করা জন্য একটি আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করা যাবে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্য়মেও আমাদের বিষয়টি জানানো যাবে।বর্ধমান, নদিয়ায় বহু মানুষের আধার কার্ড অচল হয়ে যাওয়ার পর সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সিউড়িতে এক সভায় এনিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ঘোষণা করেছেন, আধার কার্ড বিকল হয়ে গেলেও কোনও সমস্যা হবে না। রাজ্য সরকার তার সব প্রকল্প চালু রাখবে।আধার কার্ড নিয়ে কিছুটা হলেও চাপে রাজ্য বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন কারও আধার বাতিল হবে না। আধারের রাঁচি অফিসের কিছু সমস্যার কারনে এই সমস্যা হয়েছে। এই সমস্যা কেটে যাবে।অন্যদিকে, গোট বিষয়টি বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে তোপ দেগেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন, সুকান্ত মজুমদার বা শুভেন্দু অধিকারী আধার বাতিল নিয়ে যা বলছেন তাতে বোঝা যায় তারা একটা বড় চক্রান্ত শুরু করেছিলেন। সরকারের লোকজন আধার কার্ড থেকে লিঙ্ক কেটে দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রান করছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস চড়া সুরে প্রতিবাদ করার পর তারা পিছু হঠতে বাধ্য় হচ্ছে। যারা বলে আমরা কথা বলে ছাড়াচ্ছি তাদের কথাতেই বোঝা যায়।