জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৫১ ফুটের সরস্বতী ও ২২ ফুট উচ্চতার রামের মূর্তি। পুজো করেও বিপাকে পড়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। বিশাল আকার রাম ও সরস্বতীর মূর্তি দুটির বিসর্জন দেওয়া সম্ভব নয়। এই সমস্যায় কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। এজন্য দমকল বাহিনীর দ্বারস্থ হতে হয়েছে পুজো কর্মকর্তাদের।
অযোধ্যায় ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দির। সেই উপলক্ষে ২২ ফুট উচ্চতার রামের মূর্তি তৈরি করে পুজো হয়েছিল জলপাইগুড়ি শহরে। পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ৫ নম্বর গুমটি সংলগ্ন বামনপাড়ায় হয়েছিল ভগবান রামের পুজো। এরপর প্রায় একমাস কেটে গেলেও মাটির তৈরি ২২ ফুটের রামের মূর্তিটি একইভাবে রয়ে গিয়েছে। পুজোর পর নিরঞ্জন না হওয়ায় মাঠের মধ্যে এখনও রামের মূর্তিটি সমহিমায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। মূর্তিটির কিছু অংশ ভেঙেও পড়েছে। পুজো কমিটির আহ্বায়ক মানস মুস্তাফি বলেন, 'আমরা অনেক বড় উদ্যোগ নিয়ে পুজো করেছিলাম। কিন্তু এখন প্রতিমাটি নিরঞ্জনের জন্য সমস্যায় পড়েছি। দীর্ঘদিন কেটে গেলেও আমরা মূর্তিটির নিরঞ্জন বা বিসর্জন করতে পারছি না।' দমকলকে জানানো হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। বাধ্য হয়ে নিজেরাই কিছু উদ্যোগ নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন।একই রকম পরিস্থিতিতে পড়েছেন ৫১ ফুট উচ্চতার সরস্বতী পুজোর উদ্যোক্তারাও। স্টুডেন্টস অফ জলপাইগুড়ির পক্ষ থেকে শহরের গোমস্তা পাড়া এলাকায় তৈরি করা হয়েছিল ৫১ ফুটের দীর্ঘ সরস্বতী প্রতিমা। এই প্রতিমার বিসর্জনের জন্য সমস্যায় পড়েছেন উদ্যোক্তারা। কমিটির সভাপতি প্রিতম ঘোষ বলেন, 'দমকলের কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি। ইতিমধ্যেই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি দু-তিন দিনের মধ্যে নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।'