রণজয় সিংহ: এবারে বিরোধীদের একযোগে আক্রমণ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মালতি পুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সির। চোরের মত বাড়িতে গিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা হলে মহিলারা বেঁধে রেখে চামড়া গুটিয়ে নেবে হুঁশিয়ারি জেলা তৃণমূল সভাপতির। এমনকি ১০০ দিনের রেজিস্ট্রেশনের ক্যাম্পে বসে কেউ টাকা চাইলে তাকেও বেঁধে রাখার পরামর্শ দিলেন তিনি। 'আমরা দেখছি পশ্চিমবঙ্গের বুকে জোট বেঁধেছে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস। তিনজন ভাই ভাই। বিজেপি বড় ভাই কংগ্রেস, সিপিএম তাদের ছোট ভাই।'
আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, ১০০ দিনের টাকা যারা পাবে তাদের যে বকেয়া টাকা আমরা তার ক্যাম্প করব। ক্যাম্প করার মধ্য দিয়ে সেখানে তাদের রেজিস্ট্রেশন করা হবে। তারপরে সেখানে আমরা অ্যাকাউন্টে অ্যাকাউন্টে তাদের টাকা ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। এই বড় ভাই বিজেপি, ছোট ভাই সিপিএম, মেজো ভাই কংগ্রেস তারা ভিন্ন চক্রান্ত করে। বিজেপির বিরুদ্ধে বলতে পারে না। কিন্তু তারা এই যে ট্রেন্ড তৈরি করা হয়েছে মানুষকে গ্রামে গ্রামে গিয়ে বলছে যে তৃণমূল ঠকছে তোমাদের। তোমরা কেউ ক্যাম্প যাবে না। নাম রেজিস্ট্রেশন করবে না। এই ধরনের বিভিন্ন কথা বলছে।এমনকী বিরুদ্ধ প্রচারে বলছে, লক্ষীর ভান্ডারের নাম করে মেয়েদেরকে প্রতারণা করার চেষ্টা করছে, লাঞ্ছনা করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজকের মিছিলে তো এক হাজার মহিলা ছিলেন, গোটা মালদা জেলা জুড়ে রাস্তায় ৫০ হাজার মহিলা নেমেছে। একজন মহিলা যদি বলে দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোন নেতা আমাদের খারাপ কথা বলেছেন আমরা রাজনীতি ছেড়ে দেব অর্থাৎ তারা চক্রান্তের মধ্য দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে জনমুখী কাজ করছে, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে তাতে তারা ভীত সন্ত্রস্ত আতঙ্কিত হয়ে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে।বন্ধু বিজেপি,বন্ধু সিপিএম,বন্ধু কংগ্রেস জেনে রাখ, মায়েরা যেভাবে আজকে রাস্তায় নেমেছে চোরের মত বাড়ি বাড়ি ঢুকে তাদের কানে ফিসফিস করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলার চেষ্টা করছ মায়েরা চোরের মত বাড়ির মধ্যে বেঁধে রেখে পিঠের চামড়াটা নামিয়ে দেবে। মনে রাখবে মায়েরা তৈরি তারা লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা পেয়েছে। এই তিন বন্ধু, তিন ভাইকে গ্রামের মধ্যে ধরে তাদেরকে ঘরের মধ্যে চোরের মত বন্ধ করে রাখতে হবে।মায়েরা সেখান থেকে শিক্ষা পাবে বুঝতে পারবে মায়েরা তাদেরকে ধরে রাখবে। আমরা আশা রাখছি যে ক্যাম্প তৈরি হয়েছে সেই ক্যাম্পে যারা ১০০ দিনের টাকা পাবেন সবাইকে নিয়ে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাবেন। আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত আমাদের এই রেজিস্ট্রেশন চলবে। সেই ক্যাম্প দশটা থেকে ছটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। যারা রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দেবেন তারা সবাই ১লা মার্চ টাকা পেয়ে যাবেন। কাউকে কোনও টাকা দেওয়ার দরকার নেই। আর কেউ যদি টাকা চায় তাকেও বেঁধে রেখে পিটানিটা দেন। আর যদি কেউ টাকা চাই তাদেরকেও বেধে রাখুন। এই আশা রাখছি।