যেখানে ১৪৪ ধারা নেই যেতে পারবেন বিরোধী নেতা, শুভেন্দুকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি হাইকোর্টের
২৪ ঘন্টা | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: ১৪৪ ধারায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই স্বস্তির নিঃশ্বাস বিরোধী দলনেতা। এদিন তিনি বলেন, 'সন্দেশখালিতে যাওয়ার দিনে সরবেড়িয়াতে আমাদের অবৈধভাবে আটকানো হয়। আমি, শঙ্কর ঘোষ চন্দনা বাউরী, সবাই ওখানে চারটে পর্যন্ত ছিলাম। তাই বসে অবস্থান করি। কলকাতা হাইকোর্টকে ধন্যবাদ যে তারা সব বিবেচনা করে আমাকে মঙ্গলবার সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।' কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, যে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৪৪ ধারা বলবৎ নেই সেই জায়গাগুলিতে যেতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার শুনানির পর এই অনুমতি দিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় কলকাতা থেকে বেরিয়ে সন্দেশখালি পৌঁছবেন শুভেন্দু অধিকারী, থাকবেন বিজেপির চার-পাঁচজন বিধায়ক। বিরোধী দলনেতা বলেন, 'সেখানে সন্দেশখালীর ৭-৮ টি পাড়ায় যাব। আদালতকে জানিয়েছি সেই ৮-৯টি পাড়াকর নাম জানিয়েছি। সেখানে গিয়ে আমি নির্যাতিত মা, বোন এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করব। এমনকি আমাদের বহু নির্দোষ বিজেপি কর্মীকে ওখানে গ্রেফতার করা হয়েছে, আমি তাদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলব।'আমি ভারতীয় জনতা পার্টির একজন সদস্য এ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন হবে কিনা তার সুপারিশ করতে পারেন রাজ্যপাল। কাজেই এ বিষয়ে বলার এক্তিআর আমার নেই। তবে সেটা ঠিক একজন নাগরিক হিসেবে এ রাজ্য যে রাষ্ট্রপতি শাসনের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা আমি বলেছি।কোনও আঁধার নম্বর বাতিল হয়নি। আপনাদের আমি কাগজ দিচ্ছি। এটা আধারের পক্ষ থেকে দুপুর সোয়া তিনটে নাগাদ দেওয়া হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে। এটা মুখ্যমন্ত্রী টাকা খাইয়ে করেছেন। তিনি তার লোকজন এজেন্ট দিয়ে করিয়েছেন। এর মধ্যে রাজিব কুমার থাকতেও পারেন। এসব কাজে উনি মাস্টার। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোন আধার বাতিল হয়নি। কাগজপত্র তুলে দেখাচ্ছি। সব পরিষ্কার। মমতা ব্যানার্জি ভোটে হারবে জেনে করছেন। কখনো চা বাগানে টাকা দিচ্ছেন । কখনো ভিত্তিহীন প্রচার করছেন । ওর ফেরেব্বাজির নমুনা। আঁধার অথরিটি বলেছে যে তারা কোন নম্বর বাতিল করেনি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন বিকল্প কার্ড দেব। মুখ্য সচিব এবং পঞ্চায়েত সচিব তারা ১০০ দিনের বকেয়া টাকার নামে গতকালের যে নির্দেশিকা দিয়েছেন তাতেই বলা আছে আধার না থাকলে কোন টাকা দেওয়া হবে না । তাহলে এক্ষেত্রে 24 ঘন্টার মধ্যে কি করে বদলে গিয়ে আলাদা কার্ড দেওয়ার কথা বলছেন? এই ঢপবাজ মিথ্যাবাদীকে বিশ্বাস করবেন না। এটা রাঁচি থেকে করানো হয়েছে এবং এটা করিয়েছেন চোর মমতা।
সন্দেষখালি তে মা-বোনেদের সম্ভ্রম লুট করেছে শাজাহান । শাহজাহান তৃণমূলের সন্দেশখালিতে আহবায়ক। ওখানে মৎস্য এবং প্রাণী সম্পদের কর্মাধ্যক্ষ । এর সঙ্গে চোপড়ার ঘটনা তার সামঞ্জস্য কোথায়? উনি বলতে পারেন । আমরাও বলেছি চোপড়াতে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা প্রথম দাবি করেছিলাম এখানে যে এজেন্সি কাজ করেছে তাকে তালিকাভুক্ত করার জন্য। বিএসএফকে অনুরোধ করেছি।
সন্দেশখালি তে ৯০ শতাংশ ভোটে আসনে পঞ্চায়েত ভোটে জয়লাভ করেছে তৃণমূল
ওখানে যদি ইডি, সিবিআই গিয়ে সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রান্ত না হতো তাহলে সন্দেশখালির যা পরিস্থিতি তা কখনোই দেশবাসীর সামনে আসতো না