জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আধার কার্ড নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রাজ্যে। বর্ধমানের জামালপুর, নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ, জলপাইগুড়ির ডাঙ্গাপাড়ায় বহু মানুষের ঘরে পৌঁছেছে আধার নম্বর নিস্কৃয় হওয়ার চিঠি। এনিয়ে গতকালই সিউড়ির সভা থেকে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ছিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
ওই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বহু গরিব মানুষের আধার ডিঅ্য়াক্টিভেট করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছেন এসসি, এসটি, ওবিসি সম্প্রদায়ভূক্ত মানুষজন। ওইসব লোকজনকে না জানিয়েই তাদের আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট করা হচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে আইনশৃঙ্লা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। কেন ওইসব আধার বাতিল হল তা বোঝা যাচ্ছে না। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সামনেই লোকসভা নির্বাচন, সেই দিকে তাকিয়েই বিষয়টি নিয়ে আধার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুখ্যসচিবকে কথা বলতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আধার কর্তৃপক্ষ যেটা জানিয়েছেন তা হলে আধার ডিঅ্যাক্টিভেটের বিষয়টি নিয়ে তাদের কাছেও কোনও খবর নেই। বাংলায় আধারের অফিস থেকে আধার ডিঅ্য়াক্টিভেট করা হয়নি। রাজ্য সরকার একশো দিনের টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এখন যাদের আধার বিকল হয়ে গিয়েছে তারা টাকা তুলতেই পারবে না।এদিকে, আধার গোলামালের জন্য প্রযুক্তিগত ত্রুটিকেই দায়ী করছে বিজেপি। পাশাপাশি এটাও বলা হচ্ছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আধার সক্রিয় হয়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস শোরগোল শুরু করতেই তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি তাকে অবগত করান রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সুকান্তকে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কারও আধার বাতিল হবে না। যাদের বাতিল হয়েছে তাদেরও তা ফের চালু হয়ে যাবে। জানা যাচ্ছে আধার বাতিল নিয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গেও কথা হয়েছে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। তিনি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন।