• 'পুলিশ আবারও আটকাতে পারে,' সন্দেশখালি রওনার আগে আশঙ্কায় শুভেন্দু
    আজ তক | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • গতবার সন্দেশখালির জন্য বেড়িয়েও পৌঁছতে পারেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সোমবারই ১৪৪ ধারায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই স্বস্তির নিঃশ্বাস নন্দীগ্রামের বিধায়কের। আজ সন্দেশখালি যাচ্ছেন তিনি।  মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় কলকাতা থেকে বেরিয়ে সন্দেশখালি পৌঁছবেন শুভেন্দু অধিকারী, থাকবেন বিজেপির চার-পাঁচজন বিধায়ক। 

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোমবারই জানিয়েছিলেন, 'সন্দেশখালির ৭-৮ টি পাড়ায় যাব। আদালতকে জানিয়েছি সেই ৮-৯টি পাড়ার। সেখানে  গিয়ে আমি নির্যাতিত মা, বোন এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করব। এমনকি আমাদের বহু নির্দোষ বিজেপি কর্মীকে ওখানে গ্রেফতার করা হয়েছে, আমি তাদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলব।'

    এদিন রওনা হওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারী আজতককে বলেন, তিনি আশঙ্কা করছেন, পুলিশ তাঁকে আবারও থামাতে পারে৷ শুভেন্দু আধিকারী দাবি করেছেন, তাঁকে আটকাতে রাজ্য একক বেঞ্চের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে। তিনি এটাও জানান, আমরা সন্দেশখলাই যাব এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করব।

    প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার, শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে অনুমতি দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। বিরোধী দলনেতাকে  নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। শুভেন্দু অধিকারীকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয়।

    এদিকে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়াতে রাজভবনের দরজা খুলে দিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের হাতে রাখি বেঁধেছিলেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা। সেই ‘রাখিবোন’দের সুরক্ষা দিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনে তৈরি করলেন ‘পিস রুম’। সন্দেশখালিতে নিজেদের নিরাপদ না মনে করলে, রাজভবনের এই ঘরগুলিতে থাকলে পারেন নির্যাতিতারা।  জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মাকে পাশে নিয়ে আরও একবার সে কথা জানিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।

    সরেজমিনে সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন রাজ্যপাল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে একটি রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেন সিভি আনন্দ বোস। যেখানে নারী নির্যাতনে কথা মেনে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি সেখানকার মহিলাদের জন্য মিশন ‘সন্তোষ কালী’ শুরু করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যার মূল কথা, উত্তর ২৪ পরগনার ছোট্ট দ্বীপ সন্দেশখালির মহিলাদের স্বনির্ভর করা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেখানকার মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
  • Link to this news (আজ তক)