উত্তপ্ত সন্দেশখালি, বাচ্চাদের সুরক্ষায় পাঠানো হল মহিষাদলের রামকৃষ্ণ মিশনে
২৪ ঘন্টা | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কিরণ মান্না: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি এখন শিরোনামে। সেখানকার রাজনৈতিক ঘটনায় উতপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। আন্দোলন, বিক্ষোভের মধ্যে কাটছে সময়। অস্বস্তিকর পরিবেশ গড়ে উঠেছে। অশান্তির আঁচ যাতে বাচ্চাদের মধ্যে না পড়ে তার জন্য এলাকার বহু মানুষ বাচ্চাদের রূপনারায়ণ নদী পাড় করিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে। মহিষাদল ব্লকের নাটশাল- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিনে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম।
সম্প্রতি সেই আশ্রমে সন্দেশখালির বেশ কয়েকজন বাচ্চা আবাসিক হিসাবে এসেছে। তারা নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম থেকে স্থানীয় নাটশাল হাইস্কুলে পড়াশোনা করছে। বাড়ি ছেড়ে এখানে পড়াশোনা করলেও এলাকার অশান্তি ও পরিবারের লোকজনদের কথা ভেবে খুব চিন্তায় ও ভয়ে রয়েছে তারা। নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সভাপতি শুভজিৎ মাইতি জানান, 'উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের শাখা রয়েছে। তাদের মারফত কয়েকজন আশ্রমে আবাসিক হিসাবে আবেদন করে পরিকাঠামো অনুসারে আমরা ৯ জনকে রাখতে পেরেছি। তারা আবাসিক হিসাবে থাকবে এবং পাশে নাটশাল হাইস্কুলে পড়াশোনা করবে।'সন্দেশখালির অশান্তির কারণেই এখানে পরিবারের লোক পাঠিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছি আমরা। অনেকে আবেদন করেছিলেন কিন্তু সকলকে আমরা নিতে পারিনি। নাটশাল হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক বিপ্রনারায়ণ পন্ডা জানান, 'বর্তমান শিক্ষা বর্ষে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩০ জন টিসি নিয়ে এসে আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে ৭ জন সন্দেশখালির। সরকারি নিয়ম রয়েছে টিসি নিয়ে যারা পড়াশোনার জন্য আসবে তাদের স্কুলে ভর্তি করা হবে। তাই আমরা আবেদন অনুসারে ভর্তি করিয়েছি। ওরা সকলেই নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে থেকেই পড়াশোনা করছে।'তিনি আরও বলেন, 'সাংবাদমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি সন্দেশখালি অগ্নিগর্ভ। এখানে পড়তে আসা পড়ুয়ারা জানায়, সন্দেশখালির ঘটনার ভয়ে অভিভাবকরা তাদের ওখান থেকে পাঠিয়ে দিয়েছে ওখানে। উত্তপ্ত সন্দেশখালির জন্য বাবা মাকে ছেড়ে ভিন জেলায় পড়তে আসতে হয়েছে এই পড়ুয়াদের। ছাত্ররা জানিয়েছে, ওখানে প্রচন্ড গন্ডগোলে বিদ্যালয়ে মিটিং হয়ে থাকে। পড়াশোনা হচ্ছে না। তাই তারা তাদেরকে বাবা-মা এখানে পাঠিয়েছে। এখন দেখার কবে শান্ত হয় সন্দেশখালি। আতঙ্ক কাটিয়ে কবে সন্দেশখালি ফিরবে পড়ুয়ারা।'