• বিদায়বেলায় কেকেআরে আরও কিছুদিন না খেলার আফশোস মনোজের...
    আজকাল | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২৪ ঘণ্টার একটু বেশি সময় হয়েছে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। রবিবাসরীয় সন্ধেয় রাজকীয় সংবর্ধনা দিয়েছে সিএবি। একাধিক স্মৃতি ভাগ করে নেন মনোজ তিওয়ারি। কিন্তু মনের কোণে কোথাও কিছু দুঃখ এখনও লুকিয়ে আছে। সোমবার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের অনুষ্ঠানে এসে জানালেন, আরও কিছুদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে না খেলার আফশোস রয়ে গিয়েছে তাঁর। সরাসরি জানিয়ে দিলেন, গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ঝামেলা না হলে আরও কয়েক বছর নাইটদের জার্সিতে খেলার ইচ্ছে ছিল। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে তাঁর মারা চার নাইটদের প্রথম আইপিএল জিতিয়েছিল। তারপর মাত্র একবছর কেকেআরে খেলেন মনোজ। ছাড়ার ইচ্ছা না থাকলেও একপ্রকার বাধ্য হন। এদিন এই প্রসঙ্গে মনোজ বলেন, "কেকেআরে থাকাকালীন গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে আমার বড় রকমের ঝামেলা হয়। সাজঘরে ঝগড়া হয়েছিল। সেটা কেউ জানতে পারেনি। ২০১২ সালে কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হয়। আমার চারে দল জিতেছিল। সেই কারণে আরও একবছর খেলার সুযোগ পাই। পরের আইপিএলেই আমার গম্ভীরের সঙ্গে ঝগড়া হয়। নয়তো অন্তত আরও দু-তিন বছর খেলতাম। সেটা হলে চুক্তি অনুযায়ী আমার অর্থ আরও বাড়ত। ব্যাংক ব্যালেন্স আরও মজবুত হত। কিন্তু সেই নিয়ে কোনওদিন ভাবিনি।" আইপিএলে দিল্লিতে দু"দফায় খেলেন মনোজ। প্রথমবার স্পষ্টবাদী হওয়ার জন্য ভুগতে হয় তাঁকে। এদিন সেই কথাও তুলে ধরলেন। মনোজ বলেন, "আমি যখন দিল্লিতে ছিলাম, গ্যারি কার্স্টেন কোচ ছিল। পরপর ম্যাচগুলোতে দল বাছাই সঠিক হচ্ছিল না। যোগ্যরা খেলার সুযোগ পাচ্ছিল না। রেজাল্ট আসছিল না। আমি কোনও কিছু না ভেবে সরাসরি গিয়ে বলেছিলাম, আমাকে খেলাতে না পারলে ছেড়ে দাও। দিল্লির সঙ্গে তখন আমার চুক্তি ২.৮ কোটি টাকার ছিল। তারপর ওরা আমাকে ছেড়ে দেয়। কখনও বুঝিনি এটা বললে ওরা ভুল বুঝে ছেড়ে দেবে। নিজের ক্ষতির কথা ভাবিনি।" আগের বছর হঠাৎ অবসর ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু অবসর ভেঙে আরও একটি রঞ্জি খেলার সিদ্ধান্ত নেন। সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রানার্স হওয়ার পর রঞ্জি জয়ের স্বপ্ন আবার নতুন করে দেখতে শুরু করেন। সেই কারণেই অবসর ভেঙে ফেরা। কিন্তু এবার অবসর নিয়ে দোটানায় ছিলেন না। এই প্রসঙ্গে মনোজ বলেন, "একটা সময় আসে যখন শরীর আর সঙ্গ দেয় না। গত দু"তিন বছর ধরেই শরীর সেই সংকেত দিচ্ছিল। রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া সবকিছু পেয়েছি। হাঁটুর কার্টিলেজে সমস্যা আছে। পরিবারকেও সময় দিতে পারছিলাম না। গতকাল অবসর নেওয়ার সময়ও আমার স্ত্রী সুস্মিতা আমাকে সিদ্ধান্ত ভেবে দেখতে বলেছিল। কিন্তু এবার আর ভাবলাম না। একবার অবসর নিয়েও ফিরে এসেছি। তাই এবার আর সেদিকে হাঁটতে চাইনি।" সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে মনোজের সঙ্গে হাজির ছিলেন স্ত্রী সুস্মিতা এবং ছেলে। ক্রিকেটারের পাশাপাশি বাবা এবং স্বামী হিসেবেও যে মনোজ দক্ষ, সেটা তুলে ধরেন তাঁর স্ত্রী। কথা প্রসঙ্গে মনোজের বিরিয়ানি রান্নার কথাও উঠে আসে। ছবি: অভিষেক চক্রবর্তী
  • Link to this news (আজকাল)