'নন্দীগ্রামে আমি ভয় পাইনি, আপনারাও পাবেন না', সন্দেশখালিবাসীকে আশ্বস্ত শুভেন্দুর
২৪ ঘন্টা | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ডিভিশন বেঞ্চের অনুমতির পরেই সন্দেশখালিতে শুভেন্দু। শঙ্কর ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয়বারের চেষ্টায় এলাকায়। উলুধ্বনি, পুষ্পবৃষ্টিতে স্বাগত মহিলাদের। বিরোধী দলনেতাকে কাছে পেয়ে নালিশের বন্যা। শুভেন্দু-শঙ্কর সন্দেশখালিতে যেতেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ। শাহজাহান, শিবু, উত্তমদের বিরুদ্ধে নালিশের পাহাড় মহিলাদের। শুনলেন অত্যাচার, নির্যাতনের কথা। শাস্তি হবেই। ভয় পাবেন না। আশ্বাস বিরোধী দলনেতার।
এদিকে, সন্দেশখালিতে ঢুকেই অলআউট শুভেন্দু। রাজ্যকে কড়া ভাষায় আক্রমণ। সংবিধানের জয়, গণতন্ত্রের জয়, সন্দেশখালির মা বোনেদের জয়। গুন্ডারা জেলে যাবে। মমতার দিন শেষ। হুঙ্কার বিরোধী দলনেতার। পরিবর্তনের এপিসেন্টার হচ্ছে সন্দেশখালি। নন্দীগ্রামের সঙ্গে সন্দেশখালিকে তুলনা শুভেন্দুর। তৃণমূলের পিঠে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে সন্দেশখালি। নিশানা বিরোধী দলনেতার। পাল্টা তৃণমূলের। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে আমি ভয় পাইনি, আপনারাও পাবেন না'। শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদলতের অনুমতি পেয়ে শঙ্কর ঘোষকে নিয়ে টোটোয় চেপে সন্দেশখালি গ্রামে শুভেন্দু। বলেন, শাহজাহানের ফাঁসি চায় মানুষ। সন্দেশখালির পাশে থাকার বার্তা বিরোধী দলনেতার। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু যাওয়ার আগেই সন্দেশখালিতে নতুন করে ১২ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি। পুলিসের মাইকিং। হাইকোর্টের নির্দেশে উঠল ১৪৪ ধারা। শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং শঙ্কর ঘোষ সন্দেশখালি যেতে পারবেন। তাঁদের সঙ্গে কোনও সমর্থক বা দলীয় কর্মী যেতে পারবেন না। তা নিশ্চিত করতে হবে। এলাকায় যেন শান্তি ভঙ্গ না হয়, সেটা দেখবে রাজ্য পুলিস। অন্যদিকে, শেখ শাহজাহানকে রাজ্যের পুলিস রক্ষা করছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দেশখালি সংক্রান্ত স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় মন্তব্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের। এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে না কি না জানি না। তবে মনে হচ্ছে, হয় রাজ্য পুলিস তাঁকে রক্ষা করছে। না হলে তিনি পুলিসের আওতার বাইরে চলে গিয়েছেন। শাহজাহানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ জারি করব। পুলিস এই বিষয়ে আদালতকে সাহায্য করবে বলে মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের।