দিব্যেন্দু সরকার: তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের ওপর আক্রমণের পালটা হামলা! বিজেপির দলীয় নির্মীয়মান কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। দলীয় কার্যালয়ের পাশেই একটি পুজো মন্ডপ ছিল,সেটাও আগুনে পুড়ে যায় বলে দাবি বিজেপির। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনা হুগলির খানাকুলের রঞ্জিতবাটি রায়পাড়া এলাকার।
সোমবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছান খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ-সহ একাধিক কর্মী ও সমর্থকেরা। এদিকে সামনেই লোকসভা ভোট। আর তার আগেই ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এলাকা। দলীয় কার্যালয় পোড়ানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে। এমনটাই দাবি করেছেন বিধায়ক।এনিয়ে দিনভর বিভিন্ন এলাকায় মিটিং মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপি। তবে তৃণমূলের পক্ষে এই ঘটনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, বিজেপি কী বলছে! ওরাই আমাদের নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য কাশীনাথ মন্ডলের বাড়িতে আক্রমণ করেছে। প্রাক্তন প্রধান কার্তিক ইশরকে মারধর করেছে। ওরাই অশান্তি করছে। আর ওরা যে পোড়ানোর কথা বলছে সেটা সর্বৈব মিথ্যা। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। ওরা যত অত্যাচার করবে, যত হামলা করবে ততই মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করবে। বিজেপিকে বলব, সামনেই লোকসভা ভোট। তাই এইসম শান্ত খানাকুলকে আশান্ত করবেন না।বিজেপির তরফে বলা হয়, রঞ্জিতবাটি গ্রামে বিজেপির একটা পার্টি অফিস তৈরি হচ্ছিল। গতকাল রাতে তৃণমূলের একদল হার্মাদ সেই পার্টি অফিসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশেই সরস্বতী পুজোর একটা প্যান্ডল ছিল সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার পাশেই একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ছিল। সেটাতেও আগুন লেগে যেতে পারত। প্রশাসন এখন তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে। বিজেপির বিধায়কের উপরে হামলা হলে পুলিস চুপ করে বসে থাকে।