'প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে', কলকাতায় বিজেপি অফিস ঘেরাও শিখদের...
২৪ ঘন্টা | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্দেশখালিতে পুলিসের উদ্দেশ্যে 'বিতর্কিত মন্তব্য'। কলকাতায় বিজেপি অফিস ঘেরাও করলেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি, 'যতক্ষণ না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ক্ষমা চাইবেন, ততক্ষণ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চলবে'।
ঘটনাটি ঠিক কী? তখনও হাইকোর্টের অনুমতি আসেনি। কলকাতা থেকে সন্দেশখালি উদ্দেশ্যে রওনা হন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল, শংকর ঘোষ-সহ বিজেপি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ধামাখালিতে তাঁদের আটকায় পুলিস। ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় রাস্তায়। এরপর পুলিসের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, তখন পাগরি পরা এক পুলিস আধিকারিকদের উদ্দেশ্য করে খালিস্থানি মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ। কবে? আজ, মঙ্গলবার।এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তখন পথে নেমেছেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এদিন দুপুরে কলকাতায় বিজেপি অফিস ঘেরাও করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করেন রাহুল সিনহা। এমনকী, ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। কিন্তু নিজেদের অবস্থান অনড় শিখরা। তাঁদের দাবি, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ক্ষমা চাইতে হবে'।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'পাকিস্তানি, খলিস্থানি, এসব জিনিস তো আমাদের বলার দরকার হয় না। এই অফিসার দুর্ব্যবহার করেছেন। নিজের নম্বর বাড়ানোর জন্য তৃণমূল বা তৃণমূলনেত্রীকে দিয়ে এসব করছেন। আমরা এই ধরনের কাজ কখনই করি না। কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ আমি বা আমার সাথীরা করেছে বলে মনে হয় না'।শুভেন্দুর আরও বক্তব্য, 'আমরা গুরু নানকজীকে শ্রদ্ধা করি। শিখ ধর্মকে প্রণাম করি। তাঁরা প্রকৃত রাষ্ট্রবাদী। দেশকে স্বাধীন করার ব্য়াপারে তাঁদের অবদান সবচেয়ে বেশি। পরবর্তীকালে সীমান্তরক্ষা, চিন-ভারত যুদ্ধ, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, তাতেও তাঁদের অবদান বেশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সস্তার রাজনীতি করে। তাই এই অফিসার তাঁর নম্বর বাড়ানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অসত্য তথ্য পরিবেশন করেছেন। আমরা, আমাদের সাথীরা কোনও ব্য়ক্তি, কোন সম্প্রদায়, কোন ধর্মকে আক্রমণ করে আমরা বলিনি, ভবিষ্যতেও বলব না'।ঘটনার নিন্দা করেছেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকার। তিনি বলেন, 'একজন রাজনৈতিক নেতার মুখ থেকে এই ধরনে অসংবেদনশীল, প্ররোচনামূলক ও অসম্মানজনক বক্তব্য শুনে আমরা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে। এই ভাবে কোনও মানুষের ধর্মীয় পরিচয়, ধর্মীয় ভাবাবেগ, ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে মন্তব্য করা যায় না। এটা শুধু নিন্দনীয় নয়, আইনত অপরাধ এবং দণ্ডনীয়'।