• পাগড়ি পরা মানেই খালিস্তানি নয়! বিজেপিকে তুলোধনা মমতার
    ২৪ ঘন্টা | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাগড়ি পরা মানেই খালিস্তানি নয়! সন্দেশখালিতে পুলিসের উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, "আজ বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি লজ্জাজনকভাবে সংবিধানের সীমা লংঘন করেছে। বিজেপির মতে পাগড়ি পরা সবাই খালিস্তানি। শিখ ভাই-বন্ধুদের অপমানের এই চেষ্টার আমি তীব্র নিন্দা করছি। দেশের প্রতি তাঁদের বলিদান এবং ভালবাসা অপরিসীম। বাংলার সম্প্রীতি রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। কেউ সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করলে, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" প্রসঙ্গত, কর্তব্যরত শিখ পুলিস অফিসারের উদ্দেশে বিতর্কিত 'খালিস্তানি' মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা কলকাতায় মুরলীধর লেনে রাজ্য বিজেপির সদর কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছে। ওদিকে আসানসোলেও একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।ডিভিশন বেঞ্চের অনুমতির পরই এদিন সন্দেশখালিতে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল থাকে ১৪৪ ধারা বাতিলের নির্দেশ। আদালত জানায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং শঙ্কর ঘোষ সন্দেশখালি যেতে পারবেন। তবে তাঁদের সঙ্গে কোনও সমর্থক বা দলীয় কর্মী যেতে পারবেন না। এলাকায় যেন শান্তি ভঙ্গ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আর সেটা দেখবে রাজ্য পুলিস। উল্লেখ্য, এদিন সকালে নতুন করে আবার সন্দেশখালির ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১২টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। আদালতের অনুমতির পরই শঙ্কর ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয়বারের চেষ্টায় এলাকায় ঢোকেন বিরোধী দলনেতা। উলুধ্বনি, পুষ্পবৃষ্টিতে শুভেন্দু অধিকারীকে স্বাগত জানান সন্দেশখালির মহিলারা। বিরোধী দলনেতাকে কাছে পেয়ে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তমদের সর্দারের বিরুদ্ধে নালিশের পর নালিশ জানান তাঁরা। অত্যাচার ও নির্যাতনের কথা শোনার পর, শুভেন্দু অধিকারী আশ্বাস দেন, শাস্তি হবেই। ভয় পাবেন না। গুন্ডারা জেলে যাবে। মমতার দিন শেষ। পরিবর্তনের এপিসেন্টার হচ্ছে সন্দেশখালি। নন্দীগ্রামের সঙ্গেও সন্দেশখালিকে তুলনা করেন শুভেন্দু। বলেন, তৃণমূলের পিঠে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে সন্দেশখালি। বলেন, "নন্দীগ্রামে আমি ভয় পাইনি, আপনারাও পাবেন না।" তবে আদালতের অনুমতি আসার আগে শুভেন্দু অধিকারীদের সন্দেশখালিতে পৌঁছনো আটকাতে ধামাখালিতে ব্যারিকেড করে পুলিস। নেতৃত্বে ছিলেন একজন আইপিএস পদমর্যাদার অফিসার এবং এসডিপিও। ছিলেন এডিজি সাউথ বেঙ্গল সুপ্রতিম সরকারও। ছিল RAF-ও। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপি প্রতিনিধি দল ধামাখালি পৌঁছতেই, তাঁদের আটকায় পুলিস। পুলিসের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা বাধে বিজেপি প্রতিনিধি দলের। ধামাখালিতে বসে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। ছড়ায় উত্তেজনা। সেইসময়ই পাগড়ি পরা এক পুলিস অফিসারকে উদ্দেশে করে ধেয়ে আসে 'খালিস্তানি' মন্তব্য। যার পর প্রকাশ্যেই রীতিমতো তর্কাতর্কি বেঁধে যায় ওই পুলিস অফিসারের সঙ্গে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)