• কোন্নগরে শিশু খুনে ধৃত মা ও তার বান্ধবী
    আজকাল | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: গভীর বন্ধুত্বের পরিণাম। খুন হতে হল আট বছরের শিশুকে। নৃশংসভাবে শিশু হত্যা রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হল দু"জনকে। ধৃত দু"জন, ওয়াটগঞ্জ থানার অন্তর্গত খিদিরপুরের বাসিন্দা ইফফত পারভিন এবং মৃত শ্রেয়াংশের মা শান্তা শর্মা। মঙ্গলবার উত্তরপাড়া থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিসি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস জানিয়েছেন, একাধিক তথ্য প্রমাণ, সিসি টিভি ফুটেজ, ফিঙ্গার প্রিন্টের নমুনা, ফরেনসিক রিপোর্ট ইত্যাদির ভিত্তিতে মৃত শিশুর মা এবং তার বান্ধবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই দুজনের মধ্যে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কথা বার্তার সূত্র ধরে মঙ্গলবার সকালে খিদিরপুর থেকে ইফফত পারভিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এই দুজনের মধ্যে অন্য রকম গভীর সম্পর্কের তথ্য তুলে ধরেছেন তিনি। বিয়ের আগে থেকেই এই সম্পর্ক ছিল দুজনের মধ্যে। বিয়ের পরেও বাড়িতে যাতায়াত ছিল ইফফতের। ঘটনার পরের দিন মৃত শ্রেয়াংশের বাড়িতে সমবেদনা জানতেও এসেছিল সে। দুই মহিলার এই গভীর সম্পর্কের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ানোতেই খুন, বিষয়টি পরিষ্কার উল্লেখ না করলেও, আকার ইঙ্গিতে তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন ডিসি। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার ধৃত দু"জনকে শ্রীরামপুর আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হবে।গত শুক্রবার সন্ধায় কোন্নগরের আদর্শ নগরে নৃশংসভাবে খুন করা হয় আট বছরের শিশু শ্রেয়াংশ শর্মাকে। শ্রেয়াংশ তখন বাড়িতে একা ছিল, টিভিতে কার্টুন দেখছিল। অতর্কিতে মাথার পেছনে আঘাত করে থেতলে খুন করা হয় ওই শিশুকে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রতিবেশীরা। তারপর কেটে যায় চার দিন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনার পর শনিবার সিআইডি ফিঙ্গার প্রিন্ট এক্সপার্ট টিম এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। রবিবার আসে ফরেনসিক টিম। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় তারা। সোমবার সন্ধেয় কলকাতা থেকে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির দুই সদস্যের দল আসে। যে ঘরে খুন হয়েছে সেই ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তারা। ঘণ্টাখানেক ধরে ঘর থেকে বিভিন্ন তথ্য প্রমান সংগ্রহ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রতিবেশীদের এবং মৃত শিশুর মা শান্তা শর্মা ও তার প্রতিবেশি পম্পা শর্মাকে। একইসঙ্গে উত্তরপাড়া থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শিশুর বাবা পঙ্কজ শর্মাকেও। মঙ্গলবার সকালে পুনরায় থানায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় শান্তাকে। অবশেষে বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি: পার্থ রাহা
  • Link to this news (আজকাল)