সুপ্রিম কোর্টে পরীক্ষা হল ব্যালট, বিজেপির মেয়রকে হঠিয়ে জয়ী ঘোষণা আপ প্রার্থীকে
২৪ ঘন্টা | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আদালতের ধাক্কায় খুলে গেল জালিয়াতির পরত। বদলে গেল চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনের ফলাফল। সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এই প্রথম, আদালতেই গোনা হল ব্যালট। শেষপর্যন্ত বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে সরিয়ে আপ প্রার্থী কুলদীপ কুমারকে মেয়র বলে ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। আম আদমি পার্টির তোলা বিতর্কিত ৮টি ব্যালটের দৌলতেই জয় এল আপ শিবিরে। সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায়ে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি।
মঙ্লবার ওই মামলাটি উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জে বি পাদ্রিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। বিতর্কিত ওই আটটি ব্যালট পরীক্ষা করে দেখেন বিচারপতিরা এবং ঘোষণা করেন ওই ৮টি ভোট পড়েছিল আপের পক্ষে।প্রসঙ্গত, ওইসব ব্যালট বাতিল করেন দেন রিটার্নিং অফিসার অনিল মাসি। বেঞ্চের তরফে বলা হয় অনিল মাসি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ওই ৮ ব্যালট বাতিল করেন। এরক এক পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতেই হচ্ছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে চণ্ডীগড় মিউনিপ্যাল কর্পোরেশনে আপের প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হচ্ছে।মূলত রিটার্নিং অফিসার অনিল মাসির জন্যই ৮টি ব্যালট বাতিল হয়ে যায়। এনিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। বেঞ্চের তরফে মন্তব্য করা হয়, গতকালই আদালতে রিটার্নিং অফিসার বলেছিলেন ওই ৮টি ব্যালট ত্রুটিপূর্ণ। তাই বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু ওইসব ব্যালট পরীক্ষা করে দেখা যায় সেখানে কোনও সমস্যা নেই। রিটার্নিং অফিসারের আচরণ দুটি কারণে শাস্তিযোগ্য। একটি হল, উনি মেয়র নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছেন। দ্বিতীয়ত তিনি আদালতে মিত্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর জন্য তাঁর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।উল্লেখ্য, জানুয়ারিতে হওয়া চণ্ডীগড় পুরসভার ভোটের ফলাফলে এবার জোর ধাক্কা খেল বিজেপি। রিটার্নিং অফিসারকে ম্যানেজ করে ভোটের ফল উল্টো দেওয়া হয়েছিলা তা এখন আদালতের কথাতেই স্পষ্ট। বুথের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে রিটার্নিং অফিসার অনিল মাসি নিজেই ওই ৮ ব্যালট বিকৃত করছেন। আজ প্রধান বিচারপতি বলেন, ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে রিটার্নিং অফিসার নিজে ব্যালট বিকৃত করছেন। এটা গণতন্ত্রের হত্যা। ওই অফিসারের শাস্তি হওয়া উচিত।