মনোরঞ্জন মিশ্র: আদিবাসী এক তরুণীকে মারধর ও হেনস্থার অভিযোগে শেষপর্যন্ত সাসপেন্ড হলেন পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার ওসি তুফান দাঁ। পাশাপাশি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল এক ভিলেজ পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ার। গতকালই ওই ওসিকে ক্লোজ করা হয়েছিল।
রবিবার কোটশিলা থানার বড়রোলা গ্রামে বেআইনি মদ বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযানে যায় পুলিস। সেই অভিযানেই গ্রামের এক আদিবাসী তরুণীকে মারধর ও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। গতকাল ওই ঘটনা নিয়ে সরব হন পুরুলিয়ায় বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত।বিজেপি সাংসদ ওই তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে কোটশিলা থানায় গিয়ে ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। পরে থাঁকে ভর্তি করা হয় পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে। এর পরই ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে ওসি তুফান দাঁকে সাসপেন্ড করল জেলা পুলিস। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হল অতিরিক্ত পুলিস সুপার কল্যাণ সিংকে। তরুণী নিগ্রহের প্রতিবাদে আজ জেলা পুলিস সুপারের অফিসের সামনে আজ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিজেপি।গতকাল ওই তরুণী সংবাদমাধ্যমে বলেন, পুলিস আমাকে মেরেছে। বাবা খাবার জন্য মদ বানায়। আমি ঘরে ছিলাম। ওরা এল। কোটশিলা থানার বড়বাবু আমাকে মারল। ওর সঙ্গে ছিল প্রকাশ ও মিঠুনবাবু। শরীর একজন ভালো নয়। কোটশিলা হাসপাতালে ভর্তি নিল না। বলল পুরুলিয়া হাসপাতালে যাও। আমাকে মারা হয়েছে। এর বিচার চাই।ওই ঘটনা নিয়ে গতকাল জেলা পুলিস সুপার অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোটশিলা থানার বড়রোলা থানার ঘটনাটি আমাদের নজরে আসে। ঘটনাটি জানার পরই তদন্ত শুরু করি। তদন্ত যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন্য কোটশিলার ওসিকে আমারা ক্লোজ করি। পরে আমরা লিখিত একটা অভিযোগ পেয়েছি। এনিয়ে তদন্ত হবে। কেউ দোষী হলে তার শাস্তি হবে।