প্রসেনজিত সর্দার: নাবালিকার বিয়ে রুখে দিচ্ছে প্রশাসন। অনেক সময় নাবালিকা নিজেই অকাল বিয়ে থেকে বাঁচতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছে। এরকমই এক অবস্থায় প্রেমের সম্পর্কে থাকা এক নাবালিকার পরিবার বিয়ে দিতে রাজী না হওয়ায় তার পরিবারের লোকজনকে বেধড়ক পেটাল ছেলের পরিবার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর তীতকুমার গ্রামের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তীতকুমার গ্রামের এক নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রতিবেশী নাবালকের সঙ্গে। ব্যাপারটি জানাজানি হতেই নাবালকের পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয় মেয়ে সাবালক না হওয়া পর্যন্ত তারা মেয়ের বিয়ে দেবেন না। কিন্তু সেই কথায় কান দিতে রাজী নয় নাবালকের পরিবার। তাদের দাবি প্রেম যখন রয়েছে তখন ওদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হোক।এদিকে, নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে বাড়ি থেকে বের করে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার ছক কষেছে ছেলের পরিবার। এনিয়ে দুই পরিবারের বিবাদের সূত্রপাত। অভিযোগ, এনিয়ে গোলমাল শুরু হতেই নাবালিকার বাড়িতে চড়াও হয় নাবালকের পরিবারের লোকজন। মঙ্লবার রাতে নাবালিকার বাড়িতে চড়াও হয় নাবালিকের পরিবারের লোকজন। বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ নাবালিকার পরিবারের।ঘটনায় গুরুতর আহত নাবালিকার পারিবারের ৪ সদস্য। এনিয়ে বাসন্তী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নাবালিকার পরিবারের লোকজন। প্রতিবেশী সূত্রে খবর, নাবালিকার দুই দিদি,মা ও বাবাকে বেধড়ক মারধর করে নাবালকের পরিবারের লোকজন। বর্তমানে নাবালিকার এক দিদি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার বিষয়ে নাবালিকার মা ৯ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তে নেমেছে বাসন্তী থানার পুলিস।