• সাগরদিঘির স্কুল থেকে নিখোঁজ ছাত্রের খোঁজ মিলল নবগ্রামে ...
    আজকাল | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার একটি আদিবাসী বিদ্যালয়ের আবাসিক হস্টেল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ওই ছাত্রের খোঁজ মিলল নবগ্রাম থানার পলসন্ডা এলাকাতে। বুধবার দুপুরে ওই ছাত্রকে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে এলাকার একটি হোটেলের সামনে ঘুরে বেড়াতে দেখেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এরপরই তাঁরাই গোটা ঘটনাটি জানান নবগ্রামের বিধায়ক কানাই চন্দ্র মণ্ডলকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে -উদ্ধার হওয়া ওই ছাত্রের নাম সূর্য হেমব্রম। সে সাগরদিঘী থানার চোরদিঘী লাফাং বিদ্যালয়-এর ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। সূর্য, বিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে মঙ্গলবার নিখোঁজ হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি সাগরদিঘি থানাতে লিখিতভাবে জানায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। বক্রেশ্বর পাল নামে পলসন্ডা এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, "আজ দুপুর নাগাদ ওই ছাত্র ক্লান্ত অবসন্ন শরীরে আমার দোকানের সামনে এসে কিছু খাওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে টাকা চায়। ওই ছাত্রের সাথে কথা বলে আমি জানতে পারি সে সাগরদিঘির একটি আদিবাসী আবাসিক স্কুলে থেকে পড়াশোনা করে এবং কোনও কারণে মঙ্গলবার সেখান থেকে সে পালিয়েছে। ওই ছাত্র আমাকে জানায় দু"দিন ধরে সে কিছু খায়নি।" এলাকার অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ওই ছাত্রকে প্রশ্ন করলে সে জানায় -হস্টেলের মধ্যে অন্য এক ছাত্র তাকে মারধর করার জন্য রাগে এবং ভয়ে সে সেখান থেকে পালিয়ে এসেছে। এরপরই স্থানীয় জনগণ ওই ছেলেটিকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন এবং দ্রুত তাঁকে বিধায়কের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সূর্য হেমব্রম বলে, "গতকালকে স্কুলের হস্টেলে বিছানার চাদর ফেলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে আমার সাথে সুরজ নামে অন্য এক ছাত্রের বচসা হয়। সেই সময় সুরজ আমাকে মারধর করে। এর পরই কাউকে কিছু না জানিয়ে আমি হস্টেলের পিছন গেট দিয়ে পালিয়ে যাই।" স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- সূর্যের বাড়ি বর্ধমান জেলাতে। তার পরিবারের লোকেরা বর্তমানে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য অন্য রাজ্যে রয়েছেন। গোটা ঘটনার খবর পাওয়ার নবগ্রামের বিধায়ক কানাই চন্দ্র মণ্ডল আদিবাসী ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং হোস্টেল সুপারকে নবগ্রামে তাঁর বাড়িতে ডেকে পাঠান এবং সূর্যকে তাঁদের হাতে তুলে দেন। কানাইবাবু বলেন, "বাচ্চা ছেলেটি রাগের মাথায় হস্টেল থেকে বেরিয়ে চলে এসেছিল। পলসন্ডা এলাকাতে বাচ্চাটিকে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখে আমাদের দলের কিছু লোকজন তাকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসেন। আমি ছাত্রটিকে আমার বাড়িতে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করি এবং তাকে বুঝিয়ে হস্টেল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছি।"
  • Link to this news (আজকাল)