• বিয়ে কোনও মহিলার চাকরি যাওয়ার কারণ হতে পারে না, ক্ষতিপূরণ দিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট
    ২৪ ঘন্টা | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিয়ের জন্য কোনও মহিলার চাকরি চলে যাবে, এমন নিয়মের কোনও সাংবিধানিক মান্যতা থাকতে পারে না। এমনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয় মিলিটারি নার্সিং সার্ভিস থেকে চাকরি চলে যাওয়া এক মহিলাকে ৬০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল কেন্দ্রকে।প্রসঙ্গত, বিয়ে করার জন্য ১৯৮৮ সালে এক মহিলার চাকরি চলে যায় মিলিটারি নার্সিং সার্ভিস থেকে। তার পরেই তিনি এনিয়ে মামলা করেন হাইলতে। পরে সেই মামলা ঘুরে ফিরে যায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলাতেই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।

    সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে বলেছে, এমন ধরনের পিতৃতান্ত্রিক নিয়ম মানুষের মর্যাদাবোধের পরিপন্থী ও বিভেদহীন সমাজের বিরোধী। টানা ২৬ বছরের আইনি লড়াইয়ে পর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত কেন্দ্রকে নির্দেশ দেন সেলিনা জন নামে ওই প্রাক্তন নার্সকে ৬০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যে ভাবে ওই নার্সকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তা একেবারেই বেআইনি।আদালতের তরফে তার রায়ে বলা হয়, লিঙ্গ বৈষম্যকারী যে কোনও নিয়ম অসাংবিধানিক। বিয়ের জন্য় কোনও মহিলার চাকরি চলে যাবে এটা একেবারেই অসংবিধানিক।উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে নিয়োগপত্র পান সেলিনা জন। তাঁর ট্রেনিং শুরু হয় দিল্লির সেনা হাসপাতালে। ১৯৮৫ সালে ট্রেনিং শেষে নিয়োগ পান সেলিনা। যোগ দেন সেকেন্দ্রাবাদের সেনা হাসপাতালে। ১৯৮৮ সালে সেলিনা জন বিয়ে করেন এক সেনা অফিসারকে। এরপরই সেই বছর অগাস্ট মাসে তাকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তাকে কোনও শো কজ নোটিস বা আপিল করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।চাকরি হারিয়ে সেলিনা মামলা করেন এলাহাবাদ হাইকোর্টে। আদালত তাঁকে বলে ট্রাইবুন্য়ালে আবেদন করতে। সেইমতো সেলিনা আবেদন করেন এএফটিতে। ওই আবেদেনর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে সোলিনার পক্ষেই রায় দেয় আদালত। পাশাপাশি কেন্দ্রকে বলে সেলিনাকে তার চাকরি ফিরিয়ে দিতে। এরপরই কেন্দ্র এনিয়ে আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে। শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টেও নিজেদের বক্তব্য দাঁড় করাতে ব্যর্থ হল কেন্দ্র।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)