আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে হিলির আন্তর্জাতিক শূন্যরেখায় মিলল দুই বাংলা
২৪ ঘন্টা | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
শ্রীকান্ত ঠাকুর: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মুছে গেল সীমানার ভেদাভেদ। মিলে গেল দুই বাংলা হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায়। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হল হিলির আন্তর্জাতিক শূন্যরেখায়। এপার বাংলা ওপার বাংলা, দুই বাংলার বাংলাভাষায় কথা বলা মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং বাংলা ভাষার মহান ঐতিহ্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবার জন্য সীমান্তের শূন্যরেখায় অমর একুশে শহীদদের স্মৃতি উদ্দেশে শুভেচ্ছা এবং পুষ্পস্তবক বিনিময় করা হয় দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে। এই দুই বাংলার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার আয়োজনে এপার বাংলা থেকে ছিল বেশ কিছু সংস্কৃতি ও সমাজসেবী সংগঠন এবং ওপার বাংলার “আমরা মুক্তি যোদ্ধার সন্তান কমান্ড” ও “সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত” হাকিমপুর, দিনাজপুর বাংলাদেশের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদদের স্মরণে হিলি আন্তর্জাতিক শূন্যরেখায় অমর একুশে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন হল। মঙ্গলবার সকাল দশটায় হিলি সীমান্তে দুই বাংলার মানুষের ভাষাপ্রেমী, সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন - ভারতের পক্ষে সূরজ দাশ, নবকুমার দাস, সাইফুল আলম রানা। ওপার বাংলার পক্ষে জামিল হোসেন, পৌর মেয়র, হাকিমপুর পৌরসভা, জাহিদুল ইসলাম সম্পাদক সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত, মো. লিয়াকত আলী কমান্ডার বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শাহিনুর রেজা, ভাইস চেয়ারম্যান, হাকিমপুর সহ আরো অনেকে । ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনায় ভারতীয় প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে পুস্পস্তবক বিনিময়, শহীদদের স্মৃতিতে শহীদ স্মৃতি স্মারক বিনিময় হয় শূন্যরেখায় ।
এছাড়াও হিলিতে ভাষা শহীদদের স্মরণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি হিলি শহর পরিক্রমা করে। একুশের এই বিশেষ দিনে শূন্যরেখায় গান কবিতা বক্তব্যে আজকের এই বিশেষ দিন দুই বাংলার মানুষ মিলে গেল। উজ্জীবন সোসাইটির সম্পাদক সুরজ দাস বলেন, বিগত পনেরো বছর ধরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সীমান্তের শূন্যরেখায় অনুষ্ঠিত হয়। আজকেও পালিত হলো অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আগামীতেও এমন আয়োজন করা হবে।