উত্তরপত্র নিয়ে বাড়ি চলে গেল ছাত্র, জমা পড়ল প্রশ্নপত্র! তাজ্জব ঘটনা উচ্চমাধ্যমিকে
২৪ ঘন্টা | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নারায়ণ সিংহ রায়: জীবনের অন্য়তম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা বলেই ধরা হয় উচ্চমাধ্যমিককে। সেখানেই নাকি এই ধরনের ভুল! তাজ্জব শিক্ষামহল। আর প্রথমবার অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী রইল শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুল। যা কোনও দিন কেউ শোনেননি। তাই হল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকে ঘিরে। তরুণ পরীক্ষার্থী অর্থনীতি পরীক্ষার শেষে উত্তরপত্রের বদলে প্রশ্নপত্র জমা দিয়ে চলে গেল। এখানেই শেষ হলে হয়তো ভালো হত। তা হয়নি। পরীক্ষার্থী বাড়ি নিয়ে চলে যায় উত্তরপত্রটি।
আর এই নাটকীয় ঘটনা বুঝতেই পারলেন না কর্তব্যরত পরীক্ষকরা। অনেক পরে যখন তা আবিষ্কার হল, তা নিয়ে ধুন্ধুমার স্কুলে। কার ভুল? ছাত্রের না পরীক্ষকের? এনিয়ে মঙ্গলবার টানাপোড়েন চলল দীর্ঘসময়। উচ্চমাধ্যমিকে শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলে সিট পড়েছিল শিলিগুড়ি বরদাকান্ত হাইস্কুলের ছাত্রদের। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় বরদাকান্তের শিক্ষকদের সঙ্গেও। তোলপাড় শুরু হয় ওই স্কুলেও।ঘণ্টা দেড়েক পরে সংশ্লিষ্ট ছাত্রের বাড়ি গিয়ে উদ্ধার করে আনা হয় উত্তরপত্র। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন দুই স্কুলের শিক্ষকরা। যদিও কেউই ছাত্রের নাম বলছেন না। তবে ছাত্রটিকে ‘আরএ’ করা হয়েছে অর্থাৎ আর এই পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। যদিও পরের পরীক্ষা দিতে পারবে সে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বোর্ড অ্যাডভাইজর রথীন খাসনবিস বলেন, "যা রিপোর্ট দেওয়ার তা পর্ষদকে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রটি পরীক্ষা দিচ্ছে। রেজাল্ট বেস্ট অফ ফাইভে হয়। বছর নষ্ট হওয়ার বিষয় নেই। এতবড় পরীক্ষা হচ্ছে এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।" শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আহ্বায়ক রাম ছেত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা শেষ হয় ১টায়। আমি ঘটনাটি জানতে পারি দুপুর ২.২২-এ। তারপর কাউন্সিলের সঙ্গে কথা বলে উত্তরপত্র বাড়ি থেকে আনতে বলি। ছেলেটির এই পরীক্ষার ফল নিয়ে সিদ্ধান্ত সব পরীক্ষা শেষে জানা যাবে।’ অন্যদিকে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হল এক পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে জীবনতলা থানার অন্তর্গত হোমরা পলতা হাইস্কুলে।বিদ্যালয় সূত্রে জানায় যায় ওই ছাত্রীর নাম রুকসানা খাতুন বাড়ি ঘুটিয়ারি শরীফে। নারায়নপুর বিদ্যামন্দিরের ছাত্রী।আজ পরীক্ষা কেন্দ্রে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। তাকে তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।