নারায়ণ সিংহ রায়: তৃতীয় দিনের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে এসে পরীক্ষার হলেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ভর্তি করা হলো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। বেডে শুয়েই পরীক্ষা দিলেন তিনি।জানা যায় বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে পরীক্ষা শুরু হতেই সেই স্কুল ছাত্রী অসুস্থ বোধ করে এবং অচৈতন্য হয়ে পড়ে যায়। ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নাম প্রতিমা দাস। বাড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের, গাড্রা চেকরমারি এলাকায়।
তিনি সন্ন্যাসীকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রী। এই বছর তার পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে ফুলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রতিদিনের মতো আজও সে তার বাবার সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঠিক সময় মতো চলে এসেছিল। তবে আগের দুটি পরীক্ষা ঠিকমত দিলেও আজ তৃতীয় দিনে পরীক্ষা দিতে এসে কিছুটা অসুস্থ বোধ করে ওই পরীক্ষার্থী। এরপর সুস্থ হয়ে গেলে পুনরায় পরীক্ষার হলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে শুরু করে এবং তার কিছুক্ষণ বাদেই হঠাৎই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। অচৈতন্য অবস্থায় মেঝেতে পড়ে যায় ওই ছাত্রী।বিষয়টি শিক্ষকদের নজরে আসলে শিক্ষকরা সেই ছাত্রীর অভিভাবককে ডেকে পাঠান এবং তড়িঘড়ি সেই ছাত্রীকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান।সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা তাকে অক্সিজেন লাগিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। যদিও কিছুটা সময় পরে সেই ছাত্রী কিছুটা সুস্থ বোধ করেন এরপর তাকে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাডমিট করা হয় মেডিকেলে।অ্যাডমিট থাকা অবস্থায় সেই ছাত্রী পুনরায় পরীক্ষা দিতে শুরু করেন তার নিজের বেডে বসেই। এদিকে অসুস্থ পরীক্ষার্থীর নজরদারিতে ছিলেন স্কুলের কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকারা। সঙ্গে পুলিস প্রশাসনের কর্মীরাও ছিলেন।স্কুল সূত্রে জানা যায় সেই ছাত্রী পুরোপুরি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত মেডিকেলেই থাকবেন এবং বাকি যে তিনটি পরীক্ষা রয়েছে তিনি সেখানেই পরীক্ষাগুলি দেবেন। পরীক্ষার্থীর বাবা জানান, পরীক্ষার ঠিক এক সপ্তাহ আগেই মেয়ে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন এরপর চিকিৎসককে দেখালে চিকিৎসকরা শারীরিক কিছু পরীক্ষা করতে বলেন, এবং সেই পরীক্ষায় ছাত্রীর টিবি রোগ ধরা পড়ে।সেই মতো টিবি রোগের ওষুধও চলছিল তার। এরই মাঝে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। এর ফলেই এই ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান।