• কেরলে তিন সপ্তাহে ৩ জনকে মারল হাতি, কেন মানুষকেই টার্গেট?
    আজ তক | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  •  

    কেরলে গত তিন সপ্তাহে তিনজনকে হত্যা করেছে হাতি। আরও ক্যামেরা এবং টহল দিয়ে এই সংঘর্ষ এড়ানো যাবে বলে আশা করছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘর্ষ ও মৃত্যুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছে মানুষ।

    সম্প্রতি, ওয়েনাডের পুলাপ্পল্লী এলাকায় 52 বছর বয়সী এক ট্যুরিস্ট গাইডকে একদল হাতি আক্রমণ করেছিল। এতে ঘটনাস্থলেই গাইড মারা যান। এর প্রতিবাদে শনিবার অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি হাজার হাজার মানুষ রাস্তা অবরোধ করে। ভাঙচুর করা হয় বন বিভাগের গাড়ি।

    পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। পরিবেশের জন্য কাজ করা লোকেরা অভিযোগ করেন যে মানুষ এবং হাতির মধ্যে সংঘর্ষের পিছনে বনাঞ্চল ধ্বংস করা একটি প্রধান কারণ। হাতিরা বন থেকে বেরিয়ে মানুষের এলাকায় আসছে। যার জেরে এমন ঘটনা ঘটছে।

    বৈঠক ডেকেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিন্নারাই বিজয়ন। বন ও বন্যপ্রাণী করিডোরের সীমান্তে ২৫০ টি উন্নত ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যাতে প্রাণীদের গতিবিধি আগে থেকেই জানা যায়। কেরলে, যেখানে ৩.৫০ কোটি লোক রয়েছে, ৫৫% এলাকা বনভূমিতে।

    মুখ্যমন্ত্রী বনে ২৪ ঘণ্টা টহল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে, কেরলে হাতির আক্রমণে ৬৭ জন মারা গেছে। পরিবেশবিদ এন. বদুশা জানান, দ্রুত গতিতে বন কাটা হচ্ছে। হাতির বাড়ি শেষ হয়ে আসছে। খাদ্য ও জলের সন্ধানে তারা মানব এলাকায় আসছে। এই অবস্থায় এ ধরনের হামলার সম্ভাবনা থেকে যাবে।

    ২০১৭ সালে ওয়ানাদে ৩৩২২টি হাতি ছিল। যা এখন ১৯২০-এ নেমে এসেছে। পুরো রাজ্যে মাত্র ২৩৮৬টি হাতি অবশিষ্ট রয়েছে। এই পরিসংখ্যান কেরল বন বিভাগের। বর্তমানে হাতির আক্রমণ এড়াতে সরকার জনগণের মধ্যে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করছে। যাতে মানুষ হাতির উপস্থিতি দেখে একে অপরকে বিপদের কথা জানায়।
  • Link to this news (আজ তক)