• 'হামসে জো টকরায়েগা... ' বিপুল ব্রহ্মস মিসাইল কিনছে ভারত
    আজ তক | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ব্রহ্মস মিসাইল কেনা হবে ভারতের নৌ বাহিনীর জন্য। এই মেডা ডিলে বুধবার অনুমোদন দিয়েছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি (CCS)। ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ২০০টি ব্রহ্মস মিসাইল কেনা হবে। অধিগ্রহণের জন্য চুক্তিটি মার্চের প্রথম সপ্তাহে চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে, ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রক চুক্তিটি স্বাক্ষর করবে।

    এই চুক্তি ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তিকে বাড়িয়ে তুলবে এবং এর সক্ষমতা আরও বাড়াবে। ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজ-বিরোধী অভিযানের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটি যুদ্ধজাহাজের প্রধান অস্ত্র।

    ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল হল ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগ তৈরি। ব্রহ্মস মিসাইল তৈরি করে ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস। এই মিসাইল সাবমেরিন, জাহাজ, বিমান বা স্থল প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। এই মিসাইল ২০০ কেজি ওজনের পারমাণবিক বোমা বহন করতে সক্ষম। চিন ও পাকিস্তানের পুরো এলাকা এর পরিধির মধ্যে চলে এসেছে। ব্রহ্মসের গ্রাউন্ড-টু-গ্রাউন্ড সংস্করণের স্ট্রাইক রেঞ্জ এখন বেড়ে হয়েছে ৪৫০ কিলোমিটার। 

    ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের টু স্টেজ প্রপালশন সিস্টেম রয়েছে। প্রথমটি সলিড এবং দ্বিতীয়টি লিকুইড। দ্বিতীয় স্টেজে র‍্যামজেট ইঞ্জিন রয়েছে, যা একে সুপারসনিক গতি দেয়। এছাড়াও জ্বালানি খরচ কমায়। ব্রহ্মস মিসাইল শত্রুর চোখে পড়ে না। এটি আকাশেই পথ পাল্টাতে সক্ষম। এমনকি চলমান লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে। এটি মাত্র ১০ ​​মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম, যার মানে শত্রু রাডার এটি দেখতে সক্ষম হবে না। এটি যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে। এয়ার মিসাইল ব্যবস্থার সাহায্যে একে ধরা কঠিন।

    ব্রহ্মস মিসাইল আমেরিকার টমাহক মিসাইলের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে ওড়ে। সম্প্রতি, ভারতীয় নৌবাহিনী প্রথমবারের মতো দেশে তৈরি সিকার এবং বুস্টার দিয়ে সজ্জিত ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে। উভয় যন্ত্রের ডিজাইনিং ডিআরডিও করেছে। এই দুটি যন্ত্র দেশে তৈরি করলে প্রচুর অর্থ সাশ্রয় হবে। কারণ এখনও পর্যন্ত এগুলো রাশিয়া থেকে আমদানি করা হতো। কিন্তু এগুলি আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের অধীনে তৈরি যন্ত্র।
  • Link to this news (আজ তক)