• মুম্বাইয়ে হীরানন্দানি গ্রুপের অফিসে ইডির তল্লাশি 
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • মুম্বাই, ২২ ফেব্রুয়ারি  ? মুম্বাইয়ে হীরানন্দানি গ্রুপের অফিসে বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । সূত্রের খবর, এদিন  বেলা ১২টার পরে হীরানন্দানিদের মুম্বইয়ের দফতরে তল্লাশি শুরু করে ইডি। বিদেশী  মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে এই তল্লাশি চালানো হয় বলে জানা গেছে।  হীরানন্দানিদের দফতর ছাড়়াও আরও কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চলছে বলেও জানা গেছে ।
    বিদেশী মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনেই গত সপ্তাহে তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ইডি নোটিস পাঠিয়েছিল। যদিও মহুয়ার দাবি ছিল, তিনি কোনও নোটিস পাননি, ফলে হাজিরা দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। এর পর তিনি পাল্টা আইনি চিঠি পাঠান ইডিকে। অনেকের অনুমান, এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার তল্লাশি শুরু হয়। তবে ইডির তরফে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে জানা গেছে ইডি আবার মহুয়াকে নোটিস পাঠিয়েছে। মহুয়া এরপর  হাজিরা দেন কি না সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। এরই মধ্যে হীরানন্দানি গ্রুপের দফতরে ইডির তল্লাশি অভিযান চালানো হয় ।
     
    মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে উপহার ও টাকা নেন, এবং তার বিনিময়ে সংসদে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। শুধু তাই নয়, সেই প্রশ্ন উত্থাপনের সময় তিনি আদানির নামের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামও যুক্ত করেন। সাংসদের লগ ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ডও মহুয়া ব্যবসায়ী হিরানন্দানিকে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। একই অভিযোগ করেন মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। মহুয়া এর জবাবে জানিয়েছিলেন, বন্ধু দর্শনকে তিনি আইডি, পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন শুধুমাত্র তাঁর প্রশ্নগুলি ‘টাইপ’ করে দেওয়ার জন্য। মহুয়া এমনও দাবি করেছিলেন যে, ওই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম বা বিধি নেই। অনেক সাংসদই এ ভাবে অন্যকে কাজের সুবিধের জন্য তাঁদের লগ ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকেন। তবে হীরানন্দানিদের অফিসে ইডির তল্লাশি নিশ্চিত ভাবেই বিষয়টিতে আবার অন্য মাত্রা যোগ করল।
     
    গত ডিসেম্বরে লোকসভার সাংসদ পদ থেকে মহুয়াকে বহিষ্কার করা হয়। ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’কাণ্ডে মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। ৪৯৫ পৃষ্ঠার রিপোর্ট জমা দিয়েছিল তারা। ওই রিপোর্ট পড়ে দেখার জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল। কংগ্রেস এবং অন্য বিরোধী দলগুলির তরফেও স্পিকারের কাছে সময় চেয়ে অনুরোধ করা হয় । কিন্তু স্পিকার ওম বিড়লা তা নাকচ করে দেন। বহিষ্কারের পর মহুয়া এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন বলে জানিয়েছিলেন। বহিষ্কারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানে এখনও মামলাটি বিচারাধীন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)