তিনদিনে ৩ জনের মৃত্যু! জঙ্গল থেকে রাতে বেরিয়ে এসে এলাকায় তাণ্ডব হাতির দলের...
২৪ ঘন্টা | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
চম্পক দত্ত: হাতির আক্রমণে মৃত্যু চলছেই। কখনও হাতি দেখতে গিয়ে, কখনও জমির আলু বাঁচাতে গিয়ে হাতির হামলায় মরছে নিরুপায় গ্রামবাসীরা। বন দফতর আক্রান্তদের পাশেই রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার ঘটনা।
শালবনীতে আবারও হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তির নাম টুকেশ্বর মান্ডি। বাড়ি শালবনী থানার অন্তর্গত কালীবাসা গ্রামে। পরে এ রাত্রেই মৃত্যু হয় আরও একজনের। মৃতের নাম ভাস্কর কিস্কু। একরাত্রে হাতির হামলায় মৃত্যু হল দুজনের। এদিকে একদিন আগেই সোমবার এখানে মারা গিয়েছিলেন আরও এক ব্যক্তি। ধামকুড়িয়ার জঙ্গলে হাতি দেখতে গিয়ে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় প্রদীপ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির।বুধবার বিকেলে চাদরা বিট এলাকা থেকে মৌপাল বিট এলাকায় প্রবেশ করে চারটি হাতি। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। টুকেশ্বর মান্ডির পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির পাশেই জমিতে লাগানো ছিল আলু। বুধবার সন্ধ্যে সাড়ে ৬ টা নাগাদ টুকেশ্বর হাতির ডাক শুনতে পেয়ে আলু বাঁচানোর তাগিদে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আলুজমিতে যান। বাইরে আসতেই হঠাৎই চারটি হাতির হামলার মুখে পড়েন তিনি। হাতির আক্রমণে গুরুতর আহত হন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হন এলাকাবাসী। তবে হাসপাতালের পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। টুকেশ্বরের ঘটনার পরে বুধবার রাতেই আরও একজনকে মারে হাতির দল। মৃতের নাম ভাস্কর কিষ্কু। এঁর বাড়ি শালবনী থানা এলাকার মৌপাল বিটের নোনাশোল গ্রামে। টুকেশ্বর মান্ডির মতো ভাস্করও আলুজমি বাঁচাতে গিয়েই মরলেন। ভাস্কর অবশ্য মাঠেই ছিলেন। বন দফতরসূত্রে জানা গিয়েছে, চারটি হাতির ওই দলটি কালীবাসার জঙ্গলে টুকেশ্বর মান্ডিকে মারার পরে রওনা দেয় চাদরার উদ্দেশ্যে। যাবার পথেই নোনাশোল গ্রামে আলুজমি পাহারারত ভাস্কর কিস্কুকে আক্রমণ করে তারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভাস্করের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বন দফতরের কর্মীরা।এ দুটি ঘটনার একদিন আগে, সোমবার হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল ধামকুড়িয়া গ্রামের এক বাসিন্দার। সোমবার সন্ধ্যায় চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়ার জঙ্গলে হাতি দেখতে গিয়েছিলেন বছর-আটচল্লিশের প্রদীপ ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় তাঁর। বুধবার সন্ধ্যায় প্রদীপের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানায় বন দফতর। পাশাপাশি বন দফতরের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়। মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৫ লক্ষ টাকার চেক। বন দফতরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রকোনা রেঞ্জের রেঞ্জার তমাল মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা।