• X: অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার, এক্স কর্তৃপক্ষ...
    আজকাল | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য,দিল্লি: অ্যাকাউন্ট ব্লক করা এবং কয়েকটি বিশেষ অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিল এক্স কর্তৃপক্ষ। তাদের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট গ্লোবাল গভর্মেন্ট অ্যাফেয়ার্সে জানানো হয়েছে, কয়েকগুলি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ভারত সরকারের তরফে। তাদের দাবি, সরকারের এই নির্দেশের সঙ্গে এক্স কর্তৃপক্ষ একমত নয়। বাক স্বাধীনতার বিচারে এই পদক্ষেপ মেনে নিতে রাজি নয় এক্স কর্তৃপক্ষ।গ্লোবাল গভর্মেন্ট অ্যাফেয়ার্সের তরফে জানানো হয়েছে, আইনি বিধি নিষেধের কারণে ভারত সরকারের নির্দেশ তারা প্রকাশ করতে পারবে না। সংস্থার দাবি, তারা বিশ্বাস করে এই নির্দেশিকা স্বচ্ছতার স্বার্থে প্রকাশ করা প্রয়োজন। কেন্দ্রের তরফে অবশ্য এই বিষয়ে কোনও ব্যখা দেওয়া হয়নি। এক্সের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "নির্দিষ্ট কতকগুলি পোষ্ট এবং অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য নির্দেশ জারি করেছিল ভারত সরকার। সেই পোষ্ট এবং অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে জরিমানা এবং কারাদণ্ডের আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে। সেই নির্দেশ মেনেই আমরা শুধুমাত্র ভারতের জন্য সেই অ্যাকাউন্ট এবং পোষ্টগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছি। আমরা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এবং মনে করি এই পোষ্টগুলির সঙ্গে বাক স্বাধীনতার প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে।" ভারত সরকারের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা মামলা বকেয়া রয়েছে। যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট এবং পোষ্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেগুলি আগে থেকে ইউজার্সদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছে এক্স কর্তৃপক্ষ।গত ২ বছর ধরেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে নানান বিষয়ে সংঘাত তৈরি হয়েছে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স এর। ২০২১ সালে মোদি সরকারের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরব হয় তৎকালীন টুইটার। দেশের নাগরিকদের বাক স্বাধীনতা হরণ করার আশঙ্কা প্রকাশ করে টুইটার কর্তৃপক্ষ। যদিও সরকারের তরফে তাদের স্পষ্ট ভাষায় দেশের আইন এবং বিধি মেনে চলতে বলা হয়। পাশাপাশি মোদি সরকারের তরফে বার্তা দেওয়া হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রকে জ্ঞান বা নির্দেশ না দিয়ে দেশের আইন মেনে চলুক টুইটার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাক স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করার জন্য এক্স এর কর্তা ইলন মাস্কের নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রস্তাব দিয়েছেন নরওয়ের একজন সাংসদ। বাক স্বাধীনতার পক্ষে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, "আমি আইনের বাইরে গিয়ে সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে। যদি সাধারণ মানুষ চান কম বাক স্বাধীনতা, তাহলে তাঁরাই সরকারকে বলুন সেই মতো আইন তৈরি করতে।"সম্প্রতি কৃষক বিক্ষোভ ফের মাথা চাড়়া দিয়েছে। এই সময়ে কৃষকদের পক্ষে সওয়াল করা একাধিক এক্স অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করার অভিযোগ উঠেছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, "ভারতে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে।" তৃণমূলের সদ্য জয়ী রাজ্যসভার সদস্য সাগরিকা ঘোষ তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, "নির্বাচন এগিয়ে আসতেই মোদি সরকার সেন্সর শুরু করে দিয়েছে। ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে আরও বিপজ্জনক ইঙ্গিত।" উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের সাংসদ ও মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর দাবি, "গণতন্ত্রের জন্মদাত্রী থেকে গণতন্ত্রের হত্যাকারী।"
  • Link to this news (আজকাল)