• প্রতিষ্ঠা দিবসে সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠার শপথ নিল এসএন‌ইউ...
    আজকাল | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • ‌আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘‌উৎকর্ষের খোঁজে আমাদের এই অধ্যাবসায় অব্যাহত থাকবে।’‌ বৃহস্পতিবার সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’‌র (এসএনইউ) ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠা দিবসে একথা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সত্যম রায়চৌধুরী। তাঁর কথায়, ‘‌এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরই স্থাপন করা হয়েছিল উৎকর্ষের খোঁজে।’‌ এগিয়ে চলার এই পথে তিনি পাশে পেয়েছেন যাদের সেই উপাচার্য, শিক্ষক–সহ অন্যান্য সহকর্মী এবং অবশ্যই পড়ুয়াদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসএনইউ ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠা দিবসের এই দিনটি ছিল আক্ষরিক অর্থেই চাঁদের হাট‌। স্তোত্র পাঠ করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী। এসএনইউ’‌র উপাচার্য অধ্যাপক ড. ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌আমাদের কাছে এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। এই বিশ্ববিদ্যালয় সিস্টার নিবেদিতার আদর্শকে প্রতিফলিত করছে।’‌ বিশ্ব মানবতার প্রতীক সিস্টার নিবেদিতার বহুমুখী চরিত্র ঠিক কেমন ছিল? বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাক্তন সাংসদ অধ্যাপক ড.সুগত বসু তাঁর প্রতিষ্ঠা দিবসের ভাষণে সেই ব্যাখ্যা করেছেন। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শকে পাথেয় করে এগিয়ে চলা সিস্টার নিবেদিতা বিজ্ঞানী ড. জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান সাধনার সহযোগিতাতেও কী ভূমিকা পালন করেছিলেন তার প্রাঞ্জল ব্যাখ্যা করেছেন অধ্যাপক বসু। ‘‌এসএনইউ’‌র এই অনুষ্ঠানে এসে যেভাবে জ্ঞান–সমৃদ্ধ হওয়া গেল সেটা পড়াশোনা করে জানতে গেলে অনেকটাই সময় লেগে যেত।’‌ বললেন বিশেষ অতিথি রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‌এই বিশ্ববিদ্যালয় যেন দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় হয়। এটাই কামনা।’‌ গতবছর এসএনইউ’‌র তরফে সাম্মানিক ডিলিট উপাধি দেওয়া হয়েছিল বিশিষ্ট রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মার্টিন কেম্পশেনকে। অনিবার্য কারণে ওই অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। এদিন তাঁর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিলিট–এর মানপত্র তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত পড়ুয়াদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, ‘‌বিজ্ঞানের সঙ্গে রাখতে হবে আধ্যাত্মিক ভাবনাও।’‌ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্ধৃতি তুলে তিনি বলেন, হয়ত জীবনে কখনও একলাও এগোতে হতে পারে। ভয় পেলে চলবে না। অন্য বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নেপালের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) প্রমীলা কুমারী। তিনি জানান, এসএনইউর যে দিকটি তার ভাল লেগেছে তা হল, ‘‌এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রে উৎকর্ষ বৃদ্ধির জন্যই এগোচ্ছে না, তাদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে সামাজিক দায়বদ্ধতার দিকটিও।’‌ প্রতিবেশী এই দেশের কাঠমান্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভোলা থাপা এসএনইউকে আহ্বান জানান, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যোগসূত্র আরও বাড়িয়ে যৌথভাবে এগিয়ে চলার জন্য। পড়ুয়াদের উন্নতির জন্য ইতিমধ্যেই দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে এসএনইউ। অনুষ্ঠানে আমেরিকার ব্র্যাডলে ইউনিভার্সিটির সঙ্গে মৌ স্বাক্ষরের নথি আদানপ্রদান হয়। ব্র্যাডলের হয়ে এই কাগজ গ্রহণ করেন কলকাতায় মার্কিন কনস্যুলেটের অ্যাক্টিং কনসাল জেনারেল এলিজাবেথ লি এবং এসএনইউ’‌র হয়ে রেজিস্ট্রার সুমন চট্টোপাধ্যায়‌। পড়ুয়াদের আহ্বান জানিয়ে পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‌আমরা প্রতিজ্ঞা করি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করব।’‌ অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয় পদ্মশ্রী ইন্দিরা চক্রবর্তী, পার্ক অফ ইন্ডিয়া, কলকাতার ডিরেক্টর মনজিৎ নায়েক, নৃত্যশিল্পী অমিতা দত্ত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি ও উদ্যোগপতি মেহুল মেয়ঙ্কাকে। দ্বিতীয়ার্ধে হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
  • Link to this news (আজকাল)