• নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে ?বই খুলে পরীক্ষা?, পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি চালু করতে চলেছে সিবিএসই বোর্ড
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • দিল্লি, ২২ ফেব্রুয়ারি  ? পড়ুয়াদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি কতটা তা যাচাই করতে বই খুলে পরীক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি চালু করতে চলেছে সিবিএসই বোর্ড। আগামী নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি চালু করা হবে। প্রথমে নির্দিষ্ট কিছু স্কুলে এই পরীক্ষামূলক পদ্ধতি চালু করা হবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে বই খুলে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় নকল করা ঠেকাতে কী পড়ুয়ারা পাঠ্যবই, নোটস এবং অন্যান্য সহায়ক গ্রন্থ নিয়ে বসতে পারবে বলে খবর। তবে বোর্ডের ফাইনাল পরীক্ষায় এই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে না। 
    গতবছর প্রকাশিত নতুন জাতীয় স্কুল শিক্ষা নীতির সুপারিশ অনুযায়ী সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন বই খুলে পরীক্ষা দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ইংরেজি, বিজ্ঞান, অঙ্ক এবং বায়োলজি পরীক্ষা হলে বই ও স্টাডি মেটেরিয়ালস নিয়ে বসতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। তবে প্রথম দফায় নির্দিষ্ট কিছু স্কুলেই এই পদ্ধতি প্রয়োগ হবে।
    এই পদ্ধতির মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তা, সমস্যার সমাধানে তারা কতটা সময় নিচ্ছে তার মূল্যায়ন করা হবে বলে সিবিএসই সূত্রে খবর । তবে খোলা বই সামনে রেখে পরীক্ষা দেওয়া খুব একটা সহজসাধ্যও হবে না । কারণ বই খুলে লিখলে তার স্মৃতি শক্তি নয় , সমস্যার সমাধানে তার সাধারণ জ্ঞান, দ্রুত ভাবনা, এবং কোন বিষয় সম্পর্কে নিজস্ব ধারণার যাচাই সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
    উল্লেখ্য, ?ওপেন বুক এক্সাম? পদ্ধতি প্রথম চালু করেছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২০-২১ সালে অতিমারির সময় এই  পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হলেও , পরে ২০২২ সাল থেকে ফের কাগজ-কলমে পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়। তবে সিবিএসই সূত্র জানা গেছে, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অভ্যন্তরীণ পরীক্ষাতেই কেবলমাত্র এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)