• মেইতেইরা কি তফসিলিবর্গভুক্ত হবেন' বিরল পর্যবেক্ষণ মণিপুর আদালতের...
    ২৪ ঘন্টা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গতবছরের মে মাস থেকে মণিপুরে যে আগুন জ্বলেছে অন্তত ২০০ জন মারা গিয়েছেন। আগুনে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে কত পাড়া, কত গ্রাম! কত মহিলার সম্মানহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। গোটা দেশ যেন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল মণিপুর নিয়ে। তফসিলি বর্গে মেইতেই জনজাতির অন্তর্ভুক্তির প্রশ্ন নিয়েই ছিল তাদের সঙ্গে কুকিদের সেই সংঘাত ও আগুন, সেই ধ্বংস ও মৃত্যু। আজ, বৃহস্পতিবার মণিপুর হাইকোর্ট এ বিষয়ে একটি সূক্ষ্ম সংশোধন এনে তাদের একটি পর্যবেক্ষণের কথা ঘোষণা করল।

    সূক্ষ্ম সংশোধনে যা বলা হল, তাতে মেইতেইদের তফসিলিবর্গভুক্ত হওয়ার দরজা যে চিরতরে বন্ধ হয়ে গেল, এমন নয়। তবে, বলা হল, এবার ওই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য কথা বিনিময় করবে। আগে মণিপুর হাইকোর্ট রাজ্যকে  সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিল যে, তারা যেন অবিলম্বে মেইতেইদের শিডিউল ট্রাইব তালিকাভুক্ত করে, যেটা কুকিদের রোষের কারণ হয়েছিল। এখন যেটা দাঁড়াল, তাতে কোর্টের আর কোনও ভূমিকাই থাকছে না। রাজ্যকে এবার এ বিষয়ে সরাসরি নির্দেশ দেবে কেন্দ্র। মানে, বিষয়টিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব এখন কেন্দ্রেরই।সংরক্ষণের দাবিতে গতবছরে কয়েকমাস ধরে মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে জাতিহিংসার কারণে ভয়ংকর উত্তপ্ত ছিল  মণিপুর। সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছিল মেইতেইরা। মেইতেইরা মণিপুরের সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী। মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশই মেইতেই। মূলত ইম্ফল উপত্যকায় বাস মেইতেইদের। ওদিকে কুকি ও জো সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষরা থাকেন পাহাড়ি অঞ্চলে। মেইতেইদের সংরক্ষণের অধিকার দাবির বিরোধিতা করেছে কুকিরা। এই নিয়ে ২০২৩ সালের ৩ মে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। তারপর থেকেই অশান্তির আঁচে ক্রমশ পুড়েছে মণিপুর। কয়েকমাস ধরেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা মণিপুরে। জাতিদাঙ্গার ভয়ংকর  আবহে ঘর জ্বলেছে সেখানকার মানুষজনের, চলেছে মারধর, চলেছে পারস্পরিক অত্যাচার। মেয়েরা নিগৃহীত হয়েছেন। কেন কুকিরা চায়নি মেইতেইরাও তফসিলি উপজাতি বর্গে ঢুকুক? মেইতেইরাও তফসিলি উপজাতি বর্গে ঢুকলে তারা ওই বর্গের জন্য নির্ধারিত বিশেষ সুযোগসুবিধা পাবে। সেটা কুকিরা চায়নি। কুকিদের দাবি, মেইতেইরা এমনিতেই তাদের চেয়ে ভালো রয়েছে।  
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)